Friday, February 16, 2018
Wednesday, February 14, 2018
মাশরাফি–তামিমের অন্য রকম ‘তর্ক’
আজ অনুশীলনের পর দুপুরে একটা সমাবেশ (নাকি জম্পেশ আড্ডা হলো মিরপুরে ‘সাকিব কনভেনশন হলে’)। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে ক্রিকেটার-সাংবাদিকেরা এক বিন্দুতে মিললেন। তবে উপলক্ষটা ক্রিকেট ছিল না, ছিল অন্য কিছু।
সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক সাইদ জামান একটি বই লিখেছেন। বাংলাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত এই বইটির নাম ‘ব্রাজিল’। বোঝাই গেল, লেখক এটি ক্রিকেট নিয়ে লেখেননি। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিক কাভার করেছিলেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই লেখা বইটি। মজাটা হচ্ছে, ‘অক্রিকেটীয়’ এই বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান জমিয়ে তুললেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাই।
ব্রাজিল নিয়ে বই হলো, আর্জেন্টিনাকে নিয়ে কেন নয়—লেখককে এমন প্রশ্নই করলেন ‘আর্জেন্টিনা অন্তঃপ্রাণ’ মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক আকাশি-নীলদের ভালোবাসেন ডিয়েগো ম্যারাডোনার কারণে। তাই বলে ব্রাজিলের প্রতি কোনো ‘বিদ্বেষ’ তাঁর নেই, ‘আর্জেন্টিনা সমর্থন করলেও ব্রাজিলের খেলাও দেখি। রোনালদোর খেলা দেখেছি, রোনালদিনহোর খেলাও খুব ভালো লাগত। ব্রাজিলের সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে সাম্বা।’
বইয়ের প্রকাশনা উৎসব হলেও অনুষ্ঠানটি রূপ নিল চিরায়ত ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা তর্কে। বাংলাদেশ দলে যদিও মাশরাফির পক্ষেই ‘ভোট’ বেশি, বেশির ভাগই আর্জেন্টিনার সমর্থক। মাশরাফি-সাকিব-মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকের মতো অনেকেই পছন্দ করেন আর্জেন্টিনাকে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে ‘আর্জেন্টিনাবিরোধী’ও আছে যথেষ্টই। সেই দলটির নেতৃত্বে তামিম ইকবাল। ব্রাজিলের একনিষ্ঠ সমর্থক তামিমের তর্ক সবচেয়ে বেশি জমে মাশরাফির সঙ্গে, ‘ফুটবল নিয়ে সবচেয়ে মজার তর্ক হয় মাশরাফি ভাইয়ের সঙ্গে। গত বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ৭ গোল খাওয়ার পর খুব খারাপ লেগেছিল। তবে আর্জেন্টিনা-সমর্থক কেউ বলতে এলে বলি, পরের বিশ্বকাপ থেকেও যদি জিততে শুরু করেন আমাদের সমান হতে ১২ বছর লাগবে! ওই লেভেলে আসেন, তার পর কথা হবে!’
আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল বিতর্কের শেষ না হলেও একটি বিষয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা একমত, ফুটবল-পাগল এ দুই দেশের সঙ্গে যদি বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যাচ হয়, সেখানে তারা বলে-কয়েই জিতবেন! লেখক সাইদ মজার এক তথ্য জানালেন, আর্জেন্টিনা ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নাকি তামিমের ভীষণ ভক্ত। তিনি আবার আর্জেন্টিনা জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়ও। তাঁর অনুরোধ, তামিম যদি কোনো দিন আর্জেন্টিনা বেড়াতে আসেন, তাহলে যেন কয়েকটি ব্যাট সঙ্গে আনেন। ক্রিকেট সরঞ্জামাদি নাকি প্রায় পাওয়াই যায় না ফুটবল-পাগল আর্জেন্টিনায়!
সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক সাইদ জামান একটি বই লিখেছেন। বাংলাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত এই বইটির নাম ‘ব্রাজিল’। বোঝাই গেল, লেখক এটি ক্রিকেট নিয়ে লেখেননি। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিক কাভার করেছিলেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই লেখা বইটি। মজাটা হচ্ছে, ‘অক্রিকেটীয়’ এই বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান জমিয়ে তুললেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাই।
ব্রাজিল নিয়ে বই হলো, আর্জেন্টিনাকে নিয়ে কেন নয়—লেখককে এমন প্রশ্নই করলেন ‘আর্জেন্টিনা অন্তঃপ্রাণ’ মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক আকাশি-নীলদের ভালোবাসেন ডিয়েগো ম্যারাডোনার কারণে। তাই বলে ব্রাজিলের প্রতি কোনো ‘বিদ্বেষ’ তাঁর নেই, ‘আর্জেন্টিনা সমর্থন করলেও ব্রাজিলের খেলাও দেখি। রোনালদোর খেলা দেখেছি, রোনালদিনহোর খেলাও খুব ভালো লাগত। ব্রাজিলের সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে সাম্বা।’
বইয়ের প্রকাশনা উৎসব হলেও অনুষ্ঠানটি রূপ নিল চিরায়ত ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা তর্কে। বাংলাদেশ দলে যদিও মাশরাফির পক্ষেই ‘ভোট’ বেশি, বেশির ভাগই আর্জেন্টিনার সমর্থক। মাশরাফি-সাকিব-মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকের মতো অনেকেই পছন্দ করেন আর্জেন্টিনাকে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে ‘আর্জেন্টিনাবিরোধী’ও আছে যথেষ্টই। সেই দলটির নেতৃত্বে তামিম ইকবাল। ব্রাজিলের একনিষ্ঠ সমর্থক তামিমের তর্ক সবচেয়ে বেশি জমে মাশরাফির সঙ্গে, ‘ফুটবল নিয়ে সবচেয়ে মজার তর্ক হয় মাশরাফি ভাইয়ের সঙ্গে। গত বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ৭ গোল খাওয়ার পর খুব খারাপ লেগেছিল। তবে আর্জেন্টিনা-সমর্থক কেউ বলতে এলে বলি, পরের বিশ্বকাপ থেকেও যদি জিততে শুরু করেন আমাদের সমান হতে ১২ বছর লাগবে! ওই লেভেলে আসেন, তার পর কথা হবে!’
আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল বিতর্কের শেষ না হলেও একটি বিষয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা একমত, ফুটবল-পাগল এ দুই দেশের সঙ্গে যদি বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যাচ হয়, সেখানে তারা বলে-কয়েই জিতবেন! লেখক সাইদ মজার এক তথ্য জানালেন, আর্জেন্টিনা ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নাকি তামিমের ভীষণ ভক্ত। তিনি আবার আর্জেন্টিনা জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়ও। তাঁর অনুরোধ, তামিম যদি কোনো দিন আর্জেন্টিনা বেড়াতে আসেন, তাহলে যেন কয়েকটি ব্যাট সঙ্গে আনেন। ক্রিকেট সরঞ্জামাদি নাকি প্রায় পাওয়াই যায় না ফুটবল-পাগল আর্জেন্টিনায়!
বিএনপির অনশন ৩ ঘণ্টায় শেষ
কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দলের ডাকা ছয় ঘণ্টার অনশন কর্মসূচি পুলিশের আপত্তিতে আগেই শেষ হয়ে গেছে। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ বুধবার সকাল ১০টায় অনশন শুরু হয়। বিকেল চারটা পর্যন্ত হওয়ার কথা থাকলেও বেলা একটায় তা শেষ করে বিএনপি। তবে এ ব্যাপারে পুলিশের সঙ্গে চেষ্টা করে যোগাযোগ করা যায়নি।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঘোষিত তিন দিনের কর্মসূচির আজ ছিল তৃতীয় দিন। গতকাল মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে দলটি।
আজকের কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ১০টায় বিএনপির নেতারা প্রেসক্লাবের সামনের ফুটপাতের ওপর বিছানো কার্পেটে বসে পড়েন। দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা ফুটপাতের ওপর রাখা চেয়ারে বসেন। তাঁদের ঘিরে নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
বিএনপির অনশন চলার সময় প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় পুলিশের সদস্যরা রাস্তা থেকে ভিড় সরানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে মাইকে বিএনপির নেতারা বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে অনশন কর্মসূচি বেলা একটার মধ্যে শেষ করতে হবে। পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা যে যার মতো চলে যেতে থাকেন।
দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছোটাছুটি করছিলেন। পরে দেখা গেল, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেলকে গ্রেপ্তারের জন্য তাঁর পিছু নেয়। গোয়েন্দা পুলিশের দলটি প্রেসক্লাবের ভেতর দিয়ে সচিবালয়ের সামনে যায়, এরপর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। তবে কাউকে গ্রেপ্তার বা আটকের খবর পাওয়া যায়নি।
অনশন কর্মসূচি শেষের একটু আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ কর্মসূচিতে একাত্মতা জানাতে প্রেসক্লাবে আসেন। তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন এবং এর মধ্য দিয়ে অনশন কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
এ সময় ফখরুল ইসলাম বলেন, বিকেল চারটা পর্যন্ত অনশন চলার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষের অনুরোধের কারণে বেলা একটায় অনশন কর্মসূচি শেষ করা হয়েছে। এই কর্মসূচি থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানান তিনি
অনশন কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের দিনব্যাপী অনশন আমরা বেলা একটার মধ্যে শেষ করতে বাধ্য হচ্ছি। এই সরকার আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে, বিএনপিকে দুর্বল করে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখতে চায়। খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে ছাড়া এ দেশে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, দেশের মানুষের স্বাধীনতা নেই। অথচ একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। দেশের স্বাধীনতা আজকে হুমকির মুখে। আজকে চার দিন ধরে যাঁরা খালেদা জিয়াকে কারাগারে ডিভিশন দেননি, তাঁদের ব্যাপারে মামলা করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করার জন্য দলের মহাসচিবকে অনুরোধ করেন তিনি।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনশন কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা বরকত উল্লাহ বুলু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল প্রমুখ। এ ছাড়া বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের এবং ২০–দলীয় জোটের নেতারা বক্তব্য দেন।
Friday, February 9, 2018
মাইকেল সাইমনসকে কেউ চিনেন??
মাইকেল সাইমনসকে কেউ চিনেন??
তার বয়স মাত্র ২১ বছর।আর এই ২১ বছর বয়সের ছেলেটাকে নিয়ে টানাটানি করে গুগোল আর ফেসবুক। কেন জানেন??? তাদের প্রতিষ্ঠানে চাকরী করানোর জন্য!!
খুব অদ্ভুত ব্যাপার না? মাত্র ২১ বছর বয়সেই এতো বড় বড় প্লাটফর্মে তার জনপ্রিয়তা সত্যিই অবাক হওয়ার বিষয়! শুনলে হয়তো চমকেও উঠতে পারেন এই সাইমনস মাত্র ১৩ বছর বয়সে মোবাইল এপ্স বানান যা প্রথম দিনেই ৪২ কপি পরের দিন ১০০ কপি তৃতীয় দিন ১৫০ কপি বিক্রি হয়।দ্রুতই এই এপ্স বিক্রির ক্ষেত্রে সেরা ১০ এর রেকর্ড ভেঙ্গে দেয়!!তার পরের মাসেই ঘটল আসল ঘটনা এপেল কম্পানি তাকে ৫ হাজার ডলারের চেক পাঠায়।মাত্র ১৪ বছর বয়সে তার মাসিক ইনকাম দাঁড়ায় ১২ হাজার ডলার।
তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা হয়ে ফেসবুকে জয়েন করেন।তারপরের বছর প্রকৌশলী হয়ে চাকরী স্থায়ী হয়।এ বছর চাকরী ছেড়ে দেওয়াতে ফেসবুক আর গুগোল তাকে নিয়ে টানাটানি করে পরে তিনি জানান গুগোলে যোগদান করতেছেন!তিনি ফেসবুকের সর্বকনিষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন এবং গুগোলের সর্বকনিষ্ঠ কর্মকর্তা হবেন!!
মাইকেল সাইমনসকে নিয়ে লিখলে আরো লিখা যাবে যাইহোক মূল কথায় আসি।শুধু মাইকেল সাইমনস না উন্নত বিশ্বের যুবকেরা ২০ বছর বয়স হলেই ভাবে কিভাবে ইউনিক কিছু করা যায়।৩০ এর আগেই কিভাবে কোটিপতি বনে যাওয়া যায়!!
কিন্তু আমাদের দেশের যুবকেরা কি করে???
দুধের দাত পড়তে না পড়তেই প্রেম শিখে যায়।সুন্দরী মেয়েদের পিছে লাইন না মারলে পেটের ভাত হজম হয় না।২০ বছর বয়স হতে হতেই ৪/৫ টা ছ্যাকা খেয়ে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে সব স্বপ্ন ভেঙ্গে চুড়ে শেষ!! ওহে বৎস কি ছিল তোমার স্বপ্ন???
ওমুক মেয়েকে বিয়ে করব, হানিমুন করব, সংসার করব, হেই করব তেই করব ইত্যাদি ইত্যাদি!!!
দুধের দাত পড়তে না পড়তেই প্রেম শিখে যায়।সুন্দরী মেয়েদের পিছে লাইন না মারলে পেটের ভাত হজম হয় না।২০ বছর বয়স হতে হতেই ৪/৫ টা ছ্যাকা খেয়ে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে সব স্বপ্ন ভেঙ্গে চুড়ে শেষ!! ওহে বৎস কি ছিল তোমার স্বপ্ন???
ওমুক মেয়েকে বিয়ে করব, হানিমুন করব, সংসার করব, হেই করব তেই করব ইত্যাদি ইত্যাদি!!!
এইটারে কি স্বপ্ন বলে??? ওহে বৎস এইডা স্বপ্ন না এইটা নিয়ে না ভাবলেও এমন সময় আসবে।তো যেখানে উন্নত বিশ্বের যুবকেরা চিন্তা করে পরিশ্রম করে কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় সেখানে আমরা চিন্তা করি কিভাবে হেতিরে লইয়া পালানো যায়??!! কিভাবে ঐ মাইয়াডারে পটানো যায়??!! আরে পাগলা প্রতিষ্ঠিত হতে পারলে মেয়ে পটানো লাগে না এমনেইই পটবে, ভাগায় আনা লাগবে না...মেয়ের বাপে বাড়িতে এসে দিয়ে যাবে।
আমার লেখাটা ঐসব যুবকদের জন্য যারা প্রেমের নেশায় মাতাল হয়ে রাতের পর রাত দিনের পর দিন মোবাইল ফোন কানে নিয়ে প্রেমিকার সাথে ব্যস্ত আছে।আমার লেখাটা তাদের জন্য যারা "আমি আর বাচতে চাই না, আমার সব স্বপ্ন শেষ!" এসব ভেবে দিনাতিপাত করতেছে।
আমি বলব ব্যাচ-২৭ নাটক দুইটা দেখতে।মেয়েকে পাইলটের সাথে বিয়ে দেয় কারণ তার বেতন ৩ লাখ!! মেয়েকে অপূর্বর সাথে বিয়ে দিল না কেননা তার কিছুই নাই!! ছ্যাকা খেয়ে অপূর্ব ভেঙ্গে না পড়ে সে সিদ্ধান্ত নেয় পাইলট হবে এবং সে পাইলটই হয়।
নাটক সিনেমা হয়তো বাস্তব নয় কিন্তু চেষ্টা আর জিদ করলে নাটক সিনেমাকে হার মানানো যায়।
আমি বলব ব্যাচ-২৭ নাটক দুইটা দেখতে।মেয়েকে পাইলটের সাথে বিয়ে দেয় কারণ তার বেতন ৩ লাখ!! মেয়েকে অপূর্বর সাথে বিয়ে দিল না কেননা তার কিছুই নাই!! ছ্যাকা খেয়ে অপূর্ব ভেঙ্গে না পড়ে সে সিদ্ধান্ত নেয় পাইলট হবে এবং সে পাইলটই হয়।
নাটক সিনেমা হয়তো বাস্তব নয় কিন্তু চেষ্টা আর জিদ করলে নাটক সিনেমাকে হার মানানো যায়।
সুতরাং একটা কথায় বলবো, স্বপ্ন দেখুন, "কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হব, কিভাবে বড় হব, কিভাবে এই সমাজ বদলে দিব।আমি লেখক কিংবা চিত্রনায়ক হব, আমি ক্রিকেটার নয়তো সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হব ইত্যাদি ইত্যাদি!
এখন হয়তো বলতে পারেন " আব্বে ফইন্নি নীতি কথা কইতে আইছোস বয়সতো ২০ ওভার করছিস কিন্তু তুই কি করেছিস?" তাদের বলব, " ওস্তাদ খাড়ান আমিও আপনাদের দলে!"
লেখাঃ Robiul Islam Aminur(নির্লিপ্ত)
Wednesday, February 7, 2018
Tuesday, February 6, 2018
Monday, February 5, 2018
চাকরির বয়সসীমা: ভুগবে কেন তরুণেরা?
আমাদের দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর। বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে তুলনা করলে কিংবা এ দেশের বাস্তবতায় এই সময়সীমা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন কি না, এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে লেখালেখি-মানববন্ধন-সভা-সেমিনার-স্মারকলিপি পেশসহ বহুবিধ কর্মসূচি। সরকার কখনো কখনো চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সেই অবস্থানও বদলেছে। দীর্ঘদিনের আন্দোলন এখন রূপ নিয়ে অনশনে। সরকার কি অনশনকারীদের যৌক্তিকতা বিচার করবে?
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা কেন বাড়ানো প্রয়োজন?
আমাদের গড় আয়ু যখন ছিল ষাটের নিচে, তখন আমাদের চাকরি থেকে অবসরের সময় ছিল ৫৭ বছর। এখন সেই অবসরের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ বছর। আলোচনা চলছে অবসরের সময়সীমা বৃদ্ধি করার। অবসরের সময় বাড়লে সংগত কারণে ওই দুই বছর চাকরিতে নতুনদের প্রবেশের সুযোগ কমে আসে। কারণ, ওপরের পদ শূন্য হলেই কেবল নিচের পদে জনবল নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়। সেই বিবেচনায় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা উচিত। একই সঙ্গে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা এবং চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করাই ছিল যুক্তিসংগত।
স্কুলিং বেড়েছে, চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা বাড়েনি
আমাদের দেশে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে আগে স্নাতক ছিল দুই বছরের। এখন হয়েছে তিন বছর। আগে স্নাতক (সম্মান) ছিল তিন বছরের কোর্স, এখন চার বছরের। আগে স্নাতকোত্তর শেষ করতে প্রয়োজন হতো চার বছর, এখন পাঁচ বছর। স্কুলিং এক বছর করে বাড়লেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়েনি। মেডিকেল কলেজে স্কুলিং বেশি হওয়ার কারণে তাঁদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা করা হয়েছে ৩২ বছর। তাহলে সাধারণদের স্কুলিং বেড়ে যাওয়ার পরও কেন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়বে না?
আমাদের দেশে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে আগে স্নাতক ছিল দুই বছরের। এখন হয়েছে তিন বছর। আগে স্নাতক (সম্মান) ছিল তিন বছরের কোর্স, এখন চার বছরের। আগে স্নাতকোত্তর শেষ করতে প্রয়োজন হতো চার বছর, এখন পাঁচ বছর। স্কুলিং এক বছর করে বাড়লেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়েনি। মেডিকেল কলেজে স্কুলিং বেশি হওয়ার কারণে তাঁদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা করা হয়েছে ৩২ বছর। তাহলে সাধারণদের স্কুলিং বেড়ে যাওয়ার পরও কেন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়বে না?
পাঠক্রমে মনোযোগীদের জন্য সময় বৃদ্ধি জরুরি
বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কলেজ পর্যায়ে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে একদল আছে, যারা পাঠক্রম (সিলেবাস) ভালোভাবে পড়ে। একাডেমিক ফল ভালো করার প্রত্যাশায় দিন-রাত পাঠক্রম রপ্ত করতে থাকে। লক্ষ্য তাদের প্রথম শ্রেণি কিংবা ভালো সিজিপিএ অর্জন। যারা সাধারণত পাঠক্রমকেন্দ্রিক পাঠে মনোনিবেশ করে, তারা চাকরির প্রস্তুতি ভালোভাবে নিতে পারে না। তাদের প্রস্তুতি নিতে হয় পাঠক্রমের পরীক্ষা শেষ করার পর। ফলে তারা চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় অনেক কম পায়। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা কম হওয়ার কারণে এখন অনেকেই বিষয়ভিত্তিক পড়ালেখা কমিয়ে শুধু বিসিএস পরীক্ষাসহ অন্যান্য চাকরির গাইড পড়ে। এতে করে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী পাঠক্রমে মনোযোগ দেওয়ার বেলায় নিরুৎসাহিত হন।
বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কলেজ পর্যায়ে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে একদল আছে, যারা পাঠক্রম (সিলেবাস) ভালোভাবে পড়ে। একাডেমিক ফল ভালো করার প্রত্যাশায় দিন-রাত পাঠক্রম রপ্ত করতে থাকে। লক্ষ্য তাদের প্রথম শ্রেণি কিংবা ভালো সিজিপিএ অর্জন। যারা সাধারণত পাঠক্রমকেন্দ্রিক পাঠে মনোনিবেশ করে, তারা চাকরির প্রস্তুতি ভালোভাবে নিতে পারে না। তাদের প্রস্তুতি নিতে হয় পাঠক্রমের পরীক্ষা শেষ করার পর। ফলে তারা চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় অনেক কম পায়। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা কম হওয়ার কারণে এখন অনেকেই বিষয়ভিত্তিক পড়ালেখা কমিয়ে শুধু বিসিএস পরীক্ষাসহ অন্যান্য চাকরির গাইড পড়ে। এতে করে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী পাঠক্রমে মনোযোগ দেওয়ার বেলায় নিরুৎসাহিত হন।
চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষতির দায় কার?
একজন শিক্ষার্থী তাঁর লেখাপড়াজীবনে পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে অনেকটা সময় ক্ষতিগ্রস্ত হন। একজন শিক্ষার্থী ১৬ বছর বয়সে এসএসসি পরীক্ষা দেন। উচ্চমাধ্যমিক পাস করার কথা ১৮ বছর বয়সে। স্নাতক (সম্মান) পাস করার কথা ২২ বছর বয়সে। স্নাতকোত্তর ২৩ বছর বয়সে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর হলে প্রত্যেকে সাত বছর করে সময় পাওয়ার কথা চাকরির জন্য, চেষ্টার জন্য। পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে তাঁদের যে সময় নষ্ট হয়, সেই সময় কি সরকার তাঁদের দিচ্ছে? এ রকম তো কোনো পদ্ধতি চালু নেই যে একজন শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর পাসের পরদিন থেকে হিসাব করে সাত বছর সময় পাবেন চাকরির চেষ্টা করার জন্য। এখন স্নাতকোত্তর শেষ করতে কারও কারও ২৬ থেকে ২৮ বছর লাগে। পদ্ধতিগত কিংবা সেশনজটগত কারণে শিক্ষার্থীর কয়েক বছর ক্ষতির দায় কে নেবে? এর একটি উপায় তাঁদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা।
একজন শিক্ষার্থী তাঁর লেখাপড়াজীবনে পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে অনেকটা সময় ক্ষতিগ্রস্ত হন। একজন শিক্ষার্থী ১৬ বছর বয়সে এসএসসি পরীক্ষা দেন। উচ্চমাধ্যমিক পাস করার কথা ১৮ বছর বয়সে। স্নাতক (সম্মান) পাস করার কথা ২২ বছর বয়সে। স্নাতকোত্তর ২৩ বছর বয়সে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর হলে প্রত্যেকে সাত বছর করে সময় পাওয়ার কথা চাকরির জন্য, চেষ্টার জন্য। পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে তাঁদের যে সময় নষ্ট হয়, সেই সময় কি সরকার তাঁদের দিচ্ছে? এ রকম তো কোনো পদ্ধতি চালু নেই যে একজন শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর পাসের পরদিন থেকে হিসাব করে সাত বছর সময় পাবেন চাকরির চেষ্টা করার জন্য। এখন স্নাতকোত্তর শেষ করতে কারও কারও ২৬ থেকে ২৮ বছর লাগে। পদ্ধতিগত কিংবা সেশনজটগত কারণে শিক্ষার্থীর কয়েক বছর ক্ষতির দায় কে নেবে? এর একটি উপায় তাঁদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা।
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি কি লাভজনক?
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে কারও ক্ষতির আশঙ্কা নেই। বরং যাঁরা সরকারি চাকরিতে নিজেদের মেধা প্রয়োগ করতে চান, তাঁদের বাড়তি সুযোগ সৃষ্টি হবে। এটা দেশের জন্য কল্যাণের। আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেপালসহ বিশ্বের অনেক দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৮-এর ওপর। বাংলাদেশের চাকরি প্রত্যাশীরা চান মাত্র ৩৫ বছর। সেটুকু বাস্তবায়নেও সরকারের অনীহা।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে কারও ক্ষতির আশঙ্কা নেই। বরং যাঁরা সরকারি চাকরিতে নিজেদের মেধা প্রয়োগ করতে চান, তাঁদের বাড়তি সুযোগ সৃষ্টি হবে। এটা দেশের জন্য কল্যাণের। আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেপালসহ বিশ্বের অনেক দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৮-এর ওপর। বাংলাদেশের চাকরি প্রত্যাশীরা চান মাত্র ৩৫ বছর। সেটুকু বাস্তবায়নেও সরকারের অনীহা।
সরকারের চেষ্টা কি সুদূর পরাহত?
২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে মহাজোট সরকার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কিছু কিছু কাজকে বেছে নিয়েছিল। এসবের মধ্যে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করারও কথা বলা হয়েছিল। ২০১৪ সালে নির্বাচনে যেহেতু জনগণের অংশগ্রহণ খুব বেশি ছিল না, তাই হয়তো বিষয়টি চাপা পড়েছে। দেশের এক দল শিক্ষার্থী আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা বৃদ্ধি করার। কয়েক বছর আগে ঢাকায় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করার দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদ আয়োজিত একটি সেমিনারে গিয়েছিলাম। সেখানে রাশেদ খান মেননও উপস্থিত ছিলেন। তিনি তখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। তিনিও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধিকরণে তিনিও ভূমিকা রাখবেন। সেই চেষ্টা আজ সুদূর পরাহত?
২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে মহাজোট সরকার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কিছু কিছু কাজকে বেছে নিয়েছিল। এসবের মধ্যে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করারও কথা বলা হয়েছিল। ২০১৪ সালে নির্বাচনে যেহেতু জনগণের অংশগ্রহণ খুব বেশি ছিল না, তাই হয়তো বিষয়টি চাপা পড়েছে। দেশের এক দল শিক্ষার্থী আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা বৃদ্ধি করার। কয়েক বছর আগে ঢাকায় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করার দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদ আয়োজিত একটি সেমিনারে গিয়েছিলাম। সেখানে রাশেদ খান মেননও উপস্থিত ছিলেন। তিনি তখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। তিনিও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধিকরণে তিনিও ভূমিকা রাখবেন। সেই চেষ্টা আজ সুদূর পরাহত?
দাবি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলনকারীরা অনশন শুরু করেছেন। আসলে তাঁদের অনশন হঠাৎ করে নয়। দীর্ঘদিন আন্দোলন শেষে তাঁরা অনশনে বসেছেন। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে, সবাই শুধু সরকারের শেষ বছরে এসে দাবি উত্থাপন করছেন এবং অনশনে বসছেন। কেন অনশন করছেন, তাঁদের অনশন যৌক্তিক কি না, এসব বিবেচনা করাটাই জরুরি। সরকারের এ মেয়াদে সময় আছে আর অল্প দিন। আমরা আশা করি, সরকার আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি যৌক্তিকভাবে সমর্থন দেবে। কারণ, তাঁরা চাকরি চাননি, বেকার ভাতা চাননি, চেয়েছেন চাকরির চেষ্টা করার অধিক সময়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি
চার স্কুলের কোচিংবাজ ৭২ শিক্ষককে শোকজ
এবার রাজধানীর এমপিওভুক্ত চারটি স্কুলের কোচিংবাজ ৭২ জন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) দুর্গা রানী সিকদার স্বাক্ষরিত নোটিশের মাধ্যমে গতকাল রবিবার তাঁদের আলাদাভাবে শোকজ করা হয়েছে।
কোচিংবাজ ওই শিক্ষকদের মধ্যে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩৬ জন, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২৪ জন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাতজন ও রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাঁচজন।
মাউশি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে ওই শিক্ষকদের। জবাব সন্তোষজনক না হলে তাঁদের এমপিও বাতিলেরও চিন্তাভাবনা রয়েছে অধিদপ্তরের।
নোটিশে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানদল কোচিং বাণিজ্যে জড়িত অভিযোগে ঢাকা মহানগরীর ওই চার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের তালিকা করে। দুদকের সুপারিশে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা ২০১২-এর অনুচ্ছেদ ১৩-এর বিধান লঙ্ঘন করায় এসব শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলো।
গত ডিসেম্বরে রাজধানীর আট স্কুলের ৯৭ জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করেছিল দুদক। তাঁদের মধ্যে সরকারি চার স্কুলের ২৪ জন শিক্ষক এবং এমপিওভুক্ত চার স্কুলের ৭৩ জন শিক্ষক রয়েছেন। এসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর একই প্রতিষ্ঠানে থেকে কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ করা হয়েছিল। তাই সে সময়ে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বদলির সুপারিশ করেছিল দুদক। এ ছাড়া দুদকের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদসচিবকেও চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সে অনুযায়ী গত ২৯ ডিসেম্বর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৫ জন শিক্ষককে বদলি করা হয়। এবার এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়ের ৭২ জন শিক্ষককে শোকজ করা হলো।
কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা ২০১২ অনুযায়ী, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যে জড়িত থাকলে তাঁর এমপিও স্থগিত, বাতিল, বেতন-ভাতাদি স্থগিত, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত, বেতন এক ধাপ অবনমিতকরণ, সাময়িক বরখাস্ত, চূড়ান্ত বরখাস্ত ইত্যাদি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করবে। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমপিওবিহীন কোনো শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যে জড়িত থাকলে তাঁর প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত বেতন-ভাতাদি স্থগিত, বেতন এক ধাপ অবনমিতকরণ, সাময়িক বরখাস্ত, চূড়ান্ত বরখাস্ত ইত্যাদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। এমপিওবিহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যে জড়িত থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
এ ছাড়া কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সরকার পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়াসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পাঠদান অনুমতি, স্বীকৃতি, অধিভুক্তি বাতিল করতে পারবে।
যাঁরা শোকজ খেলেন
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল : মো. নিজাম উদ্দিন কামাল, আব্দুল মান্নান, উম্মে ফাতিমা, মো. আজমল হোসেন, আব্দুল হালিম, গোলাম মোস্তফা, আশরাফুল আলম, সুবাস চন্দ্র পোদ্দার, লাভলী আখতার, তাসমিন নাহার, মতিনুর, উম্মে সালমা, মো. আব্দুল জলিল, মোহাম্মদ ফখরুদ্দীন, মনিরা জাহান, ফাহমিদা খানম পরী, লুত্ফুন নাহার, হামিদা বেগম, নাজনীন আক্তার, উম্মে সালমা-২, তৌহিদুল ইসলাম, সুরাইয়া জান্নাত, মো. সফিকুর রহমান-৩, মো. শফিকুর রহমান সোহাগ, নুরুল আমিন-২, মনিরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, অহিদুজ্জামান, মাকসুদা বেগম মালা, আলী নেওয়াজ আলম করিম, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. আব্দুর রব, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. মাহবুবুর রহমান ও মো. মোয়াজ্জেম হোসেন।
মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ : এনামুল হক, মেজবাহুল ইসলাম, সুবীর কুমার সাহা, মো. সাইফুল ইসলাম, মোহনলাল ঢালী, বাসুদেব সমাদ্দার, বকুল বেগম, আসাদ হোসেন, প্রদীপ কুমার বসাক, আবুল খায়ের, শারমীন খানম, মো. কবীর আহমেদ, খ ম কবীর আহমেদ, মো. দেলোয়ার হোসেন, মাও. কামরুল হাসান, মো. রুহুল আমিন-২, মো. কামরুজ্জামান, শেখ শহীদুল ইসলাম, শুকদেব ঢালী, হাসান মঞ্জুর হিলালী, আমান উল্লাহ আমান, হামিদুল হক খান, রমেশ চন্দ্র বিশ্বাস ও চন্দন রায়।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ : ড. ফারহানা, শাহনেওয়াজ পারভীন, সুরাইয়া নাসরিন, কামরুন্নাহার চৌধুরী, লক্ষ্মী রানী, ফেরদৌসি ও নুশরাত জাহান।
রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ : এ বি এম মইনুল ইসলাম, মো. আলী আকবর, মো. রেজাউর রহমান, মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
আগামীকাল ৬ ই ফেব্রুয়ারি ঢাকা কলেজ আন্তঃ বিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল হিসাবিজ্ঞান বনাম অর্থনীতি বিভাগের খেলা সকাল ১০ টা
আগামীকাল ৬ ই ফেব্রুয়ারি ঢাকা কলেজ আন্তঃ বিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল হিসাবিজ্ঞান বনাম অর্থনীতি বিভাগের খেলা সকাল ১০ টা থেকে অনুষ্ঠিত হবে... ফাইনাল খেলা উপভোগ করার জন্য সবাই আমন্ত্রিত
Sunday, February 4, 2018
প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের ধরিয়ে দিলে ৫ লাখ টাকা
চলতি মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরিয়ে দিলে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। একইসঙ্গে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে ১১ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সভা শেষে এ ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
আজ সচিবালয়ে পাবলিক পরীক্ষাসংক্রান্ত জাতীয় মনিটরিং কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বিকেলে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, চলতি এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি করা হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করবে ওই কমিটি। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরিয়ে দিতে পারলে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন ছড়াচ্ছে যারা, তারা ধরা পড়বেই। এটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব ছড়ানো বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কেন্দ্রসচিব ছাড়া পরীক্ষার কেন্দ্রে কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে গেলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর কোনো পরীক্ষার্থী হলে মোবাইল ফোন নিয়ে গেলে তার পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরিয়ে দিতে পারলে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন ছড়াচ্ছে যারা, তারা ধরা পড়বেই। এটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব ছড়ানো বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কেন্দ্রসচিব ছাড়া পরীক্ষার কেন্দ্রে কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে গেলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর কোনো পরীক্ষার্থী হলে মোবাইল ফোন নিয়ে গেলে তার পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
উল্লেখ্য, পূর্বসিদ্ধান্ত অনুসারে কেন্দ্রসচিব পরীক্ষার হলে শুধু একটি সাধারণ মানের ফোন নিতে পারবেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিরুদ্ধে এবার ব্যাপক কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হলেও প্রথম দুই দিনে বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন পরীক্ষা শুরুর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। মূল প্রশ্নের সঙ্গে তা মিলেও যায়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরের নেতৃত্বে গঠিত ১১ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের কমিটিতে থাকবেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, বিটিআরসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক শাখা এবং শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধিরা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই কমিটি পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করলে পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
এদিকে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) তুলে দেওয়ার বিষয়ে একটি সেমিনার করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই কমিটি পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করলে পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
এদিকে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) তুলে দেওয়ার বিষয়ে একটি সেমিনার করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
সারা দেশে মোট ৩ হাজার ৪১২টি কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ মোট ১০ বোর্ডে এবার মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৯ জন। এর মধ্যে শুধু আট বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৮ জন।
নকল ঠেকাতে পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা
পরীক্ষার হলে নকল করা ঠেকাতে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় নজরদারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায়। চলতি মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় উপজেলার ১২টি কেন্দ্রের ২০টিতে ভেন্যুতে স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা সদরের বাউফল ছালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, আরবি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা দিচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সবাই উত্তরপত্রে লেখায় ব্যস্ত। কেউ নকল করছে না বা উঁকি দিয়ে আরেকজনের খাতা দেখার চেষ্টা করছে না।
অধ্যক্ষের কার্যালয়ে বসে মনিটরে তা তদারক করছেন পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা নাজমুন নাহার ইরানী। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার কক্ষে সিসি ক্যামেরার কারণে পরীক্ষা তদারক করা সহজ হয়েছে। নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষার্থীরাও সাবলীলভাবে পরীক্ষা দিচ্ছে।’
একটু পরেই পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হন পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের মধ্যে নকলের প্রবণতা দূর করা এবং শৃঙ্খলা রাখার জন্য সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে উপজেলার এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার সব কেন্দ্র ও ভেন্যু। বিগত পরীক্ষাগুলোতে বিভিন্ন কেন্দ্রে থেকে নকলের অভিযোগ পেতাম। এ ছাড়া কারণে-অকারণে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকে পড়তেন; যা আমার একার পক্ষে রোধ করা সম্ভব ছিল না। তাই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সফলতাও পেয়েছি। প্রথম দিন কোনো কেন্দ্র থেকে কোনো অনিয়মের অভিযোগ আসেনি। নকল দূর করতে এটি একটি সহজ উপায়। আর এ উদ্যোগকে সফল করতে আর্থিকভাবে সহায়তা করেছে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রপ্রধান ও উপজেলা পরিষদ।’
অধ্যক্ষের কার্যালয়ে বসে মনিটরে তা তদারক করছেন পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা নাজমুন নাহার ইরানী। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার কক্ষে সিসি ক্যামেরার কারণে পরীক্ষা তদারক করা সহজ হয়েছে। নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষার্থীরাও সাবলীলভাবে পরীক্ষা দিচ্ছে।’
একটু পরেই পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হন পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের মধ্যে নকলের প্রবণতা দূর করা এবং শৃঙ্খলা রাখার জন্য সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে উপজেলার এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার সব কেন্দ্র ও ভেন্যু। বিগত পরীক্ষাগুলোতে বিভিন্ন কেন্দ্রে থেকে নকলের অভিযোগ পেতাম। এ ছাড়া কারণে-অকারণে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকে পড়তেন; যা আমার একার পক্ষে রোধ করা সম্ভব ছিল না। তাই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সফলতাও পেয়েছি। প্রথম দিন কোনো কেন্দ্র থেকে কোনো অনিয়মের অভিযোগ আসেনি। নকল দূর করতে এটি একটি সহজ উপায়। আর এ উদ্যোগকে সফল করতে আর্থিকভাবে সহায়তা করেছে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রপ্রধান ও উপজেলা পরিষদ।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলেন, যেসব শিক্ষক প্রাইভেট পড়ান, তাঁরাই পরীক্ষার সময় নকল সরবরাহে ব্যস্ত থাকতেন। এতে পরীক্ষার পরিবেশ পরিবেশ নষ্ট হতো। এ বছর পরীক্ষার কক্ষে সিসি ক্যামেরা থাকায় ওই শিক্ষকেরা পরীক্ষার কেন্দ্রের আশপাশেও আসেননি।
২০১৫ সালে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষানুরাগী হিসেবে পুরস্কৃত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান বলেন, সারা দেশে এ রকম পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মন দেবে।
জেলা প্রশাসক মাছুমুর রহমান বলেন, ‘এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এ পদ্ধতিতে জেলা থেকেও আমার দপ্তর থেকে পরীক্ষা তদারকি করা সম্ভব হবে। সারা দেশের জন্য পরীক্ষাপদ্ধতির এটি একটি উদাহরণ হতে পারে।’
জেলা প্রশাসক মাছুমুর রহমান বলেন, ‘এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এ পদ্ধতিতে জেলা থেকেও আমার দপ্তর থেকে পরীক্ষা তদারকি করা সম্ভব হবে। সারা দেশের জন্য পরীক্ষাপদ্ধতির এটি একটি উদাহরণ হতে পারে।’
উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার মো. সোহেল রানা বলেন, এবার বাউফলে ৬০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চার হাজার ৮৭৩ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। আর দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১ হাজার ৭১৭ জন শিক্ষার্থী।
সিসি ক্যামেরার আওতায় যেসব কেন্দ্র ও ভেন্যু
বাউফল মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাউফল আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কালাইয়া হায়াতুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নওমালা আবদুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজ, বগা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ডা. ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রি কলেজ, কালিশুরী এসএ ইনস্টিটিউট, কালিশুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেশবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কেশবপুর মহাবিদ্যালয়, কনকদিয়া স্যার সলিমুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কনকদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাউফল ছালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা ডিগ্রি কলেজ, কালাইয়া রব্বানিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, কালিশুরী ডিগ্রি কলেজ, কনকদিয়া এসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ এবং পশ্চিম নওমালা নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসা।
বাউফল মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাউফল আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কালাইয়া হায়াতুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নওমালা আবদুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজ, বগা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ডা. ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রি কলেজ, কালিশুরী এসএ ইনস্টিটিউট, কালিশুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেশবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কেশবপুর মহাবিদ্যালয়, কনকদিয়া স্যার সলিমুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কনকদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাউফল ছালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা ডিগ্রি কলেজ, কালাইয়া রব্বানিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, কালিশুরী ডিগ্রি কলেজ, কনকদিয়া এসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ এবং পশ্চিম নওমালা নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসা।
মনীষীদের উক্তি
সাফল্যের ৩টি শর্তঃ
– অন্যের থেকে বেশী জানুন!
– অন্যের থেকে বেশী কাজ করুন!
– অন্যের থেকে কম আশা করুন! —— উইলিয়াম শেক্সপিয়ার।
-
⭕ যখন তুমি মারা যাবা তখন তোমার ব্যাংকে যে পরিমান টাকা থাকবে সেটা হল ওই টাকা যা তুমি তোমার প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত কাজ করে আয় করেছ….. ———- হিটলার।
-
⭕ সৎ লোক সাতবার বিপদে পড়লে আবার উঠে,কিন্তু অসৎ লোক বিপদে পড়লে একবারেই নৃপাত হয়——-– হযরত সুলায়মান
-
⭕ স্বপ্ন সেটা নয় , যেটা মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখে সপ্ন সেটাই যেটা পূরণের প্রত্যাশা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না ——— ডঃ এ.পি.জে.আব্দুল কালাম।
-
⭕ শিক্ষার শেকড়ের স্বাদ তেঁতো হলেও এর ফল মিষ্টি ---এরিস্টটল
-
⭕ “ বন্ধুর সাথে এমন ব্যাবহার কর যেন বিচারকের শরণাপন্ন হতে না হয়॥ ” ———– প্লেটো
-
⭕ আমরা যতই অধ্যয়ন করি ততই আমাদের অজ্ঞানতা কে আবিষ্কার করি। ----শেলী
-
⭕ আমি জানি না"কথাটা বলতে শেখাই সবচেয়ে বড় শিক্ষা। ---হিব্রু প্রবাদ
-
⭕ কখনো কোন বন্ধুকে আঘাত করো না, এমনকি ঠাট্টা করেও না। --- সিসেরো
-
⭕ জ্ঞানীলোকের কানটা বড় আর জিহ্বা টা ছোট হয়।--- চীনা প্রবাদ
-
⭕ বাংলার মাটি দু্র্জয় ঘাঁটি জেনে নিক দুর্বৃত্তেরা----বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
-
⭕ একটা ভালো বই ১০০ জন বন্ধুর সমান, কিন্তু একজন ভালো বন্ধু একটা লাইব্রেরীর সমান। ---ডঃএ.পি.জে.আব্দুল কালাম।
Collected
– অন্যের থেকে বেশী জানুন!
– অন্যের থেকে বেশী কাজ করুন!
– অন্যের থেকে কম আশা করুন! —— উইলিয়াম শেক্সপিয়ার।
-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

Collected
.
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ফেব্রুয়ারি -২০১৮
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ফেব্রুয়ারি -২০১৮
=>বাংলাদেশের বর্তমান বেকারত্বের হার কত?
৪.৪ শতাংশ। ২০১০ সালে ছিল ৩.৪ শতাংশ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (ILO)রিপোর্ট অনুযায়ী বৈশ্বিক বেকারত্বের বর্তমান হার ৫.৬ শতাংশ।
=>বাংলাদেশের ইতিহাসে শীতলতম দিন কোনটি?
৮ জানুয়ারি ২০১৮; সোমবার। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় এই দিনে দেশের ইতিহাসের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২.৬ ডিগ্রী রেকর্ড করা হয়েছে।
=>বাংলাদেশের কোনটিকে ২০১৮ সালের product of the year ঘোষণা করা হয়?
ওষুধ। ২০১৭ সালের product of the year ছিল চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য।
=>বাংলাদেশ পুলিশের নতুন আইজিপির নাম কি?
ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। তিনি দেশের ২৯তম আইজিপি। ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
=>বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওয়াচ টাওয়ারের নাম কি?
জ্যাকব টাওয়ার, এর উচ্চতা ২২৫ ফুট। এটি ভোলা জেলার চরফ্যাশনে অবস্থিত। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় এবং পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের সহায়তায় এটি নির্মিত হয় এবং উপমন্ত্রীর নামেই টাওয়ারটির নাম হয় জ্যাকব টাওয়ার। এটি দক্ষিণ এশিয়ার সর্বাধুনিক ও সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ার। এর ডিজাইনার হলের স্থপতি কামরুজ্জামান লিটন।
=>২০১৮ সালে জগত্তারিণী পদক লাভ করেন কোন বাংলাদেশী?
ঢাবির ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ২ বছর পর পর এই পদক দিয়ে থাকেন। ১৯২১ সালে বাঙ্গালী শিক্ষাবিদ,গণিতজ্ঞ ও আইনবিদ স্যার আশুতোষ মুখার্জির মা জগত্তারিণী দেবীর নামে এই সম্মাননা প্রবর্তিত হয় এবং প্রথম এই পদক পান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
=>'র্যাপিড পাস' কি?
বাংলাদেশের সকল পরিবহনের ভাড়া পরিশোধের একক কার্ডের নাম। এটি ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি উদ্ধোধন করা হয়।
=>বাংলাদেশের প্রথম ছয় লেনের ফ্লাইওভার কোথায় অবস্থিত?
ফেনীর মহিপালে। এর মুল দৈর্ঘ্য ৬৯০ মিটার। উদ্বোধন করা হয় ৪ জানুয়ারি ২০১৮।
=>বাংলাদেশে বর্তমানে কতটি খাতের ওপর ভিত্তি করে মোট দেশজ উৎপাদন(GDP) নিরূপণ করা হয়?
১৫ টি। ২০০৫-০৬ অর্থবছর ককে GDP'র ভিত্তিবছর বলা হয়।
=>বর্তমানে বাংলাদেশের মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী কতজন?
৪ জন।সংসদ সদস্যদের বাইরে থেকে যাদের মন্ত্রী করা হয় তাদেরকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী বলা হয়। যেমন নবনিযুক্ত মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। প্রধানমন্ত্রীসহ বর্তমান মন্ত্রিসভায় মোট সদস্য ৫৩ জন। পূর্ণমন্ত্রী ৩৪ জন,প্রতিমন্ত্রী ১৭ জন এবং উপমন্ত্রী ২ জন।
=>মহাগ্রন্থ আল কুরআনের আদলে দেশের প্রথম কুরআন ভাস্কর্য কোথায় তৈরি করা হয়?
কসবা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ভাস্কর্যটির উচ্চতা ১৬ ফুট এবং প্রস্থ ৮ ফুট। ঢাবির কামরুল হাসান শিপন এটির ডিজাইন করেন।।
=>ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে 'সম্মানসূচক ডি.লিট' উপাধিতে ভূষিত করে কোন বিশ্ববিদ্যালয়?
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
=>প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে বাংলাদেশি বোলার হিসেবে প্রথম ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন কে?
আবদুর রাজ্জাক।
=>কোন কথাসাহিত্যিককে 'প্রদোষে প্রাকৃতজন' বলা হয়?
শওকত আলী। জন্ম পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার থানা শহর রায়গঞ্জে। তার রচিত প্রথম উপন্যাস 'পিঙ্গল আকাশ'(১৯৬৩)। শওকত আললী ২৫ জানুয়ারি ২০১৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
=>বিশ্বের সর্বশেষ প্রচলিত মুদ্রার নাম কি?
South Sdanese Pound(SSP)। বর্তমানে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত প্রচলিত মুদ্রার সংখ্যা ১৮০টি।
=>২০১৭ সালের আইসিসি'র বর্ষসেরা ক্রিকেটার কে?
বিরাট কোহলি।
=>বিশ্বের কোন দেশ প্রথম আইন করে কর্মক্ষেত্রে নারীর চেয়ে পুরুষের বেতন বা মজুরি বেশী দেয়াকে নিষিদ্ধ করেছে ?
আইসল্যান্ড
=>AG 600 কী?
বিশ্বের বৃহত্তম উভচর উড়োজাহাজ,এটি চীনের তৈরি।
=>"অসলো শান্তিচুক্তি" কী?
ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত ও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিনের মধ্যে ১৯৯৩ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসের তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের মধ্যস্থতায় একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যে চুক্তি অনুযায়ী ইসরাইল ও ফিলিস্তিন পরস্পর পরস্পরকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ছিল, এটাকেই অসলো শান্তিচুক্তি বলে।
বাইকপ্রেমী ক্রিকেটার
দেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক (ওয়ানডে) মাশরাফি বিন মুর্তজার খুবই পছন্দ মোটরসাইকেল। সুযোগ পেলে তিনি মোটরসাইকেল চালান। বিশেষ করে নড়াইল গেলে। অনেক আগে মামার দেওয়া হোন্ডা সিডিআই মোটরসাইকেলটি তাঁর প্রিয়।
২০১৫ সালে প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নানা শখের কথা বলেন মাশরাফি। শখের তালিকায় মোটরসাইকেল চালানোকেও রেখেছিলেন তিনি। নড়াইল এক্সপ্রেস প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামার দেওয়া মোটরসাইকেলটি ২৭ বছর ধরে আছে। আমি যখন দশম শ্রেণিতে পড়ি, তখন থেকে মোটরসাইকেলটি চালাই।’
মাশরাফির এই মোটরসাইকেলপ্রীতির কারণেই হয়তো একটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ চালুর উদ্বোধনে ডাকা হয়েছিল তাঁকে। তিনি প্রথম যাত্রী হিসেবে ওই অ্যাপের উদ্বোধন করেন।
মাশরাফির মতো দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের অনেকেরই মোটরসাইকেল পছন্দ। এ তালিকায় প্রথম নামটি উঠবে ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির। তাঁর মালিকানায় কিছু দামি গাড়ি আছে, আছে বেশ কিছু মোটরসাইকেলও।
ভারতের কয়েকটি পত্রিকায় গত বছর ধোনির সংগ্রহে কী কী গাড়ি ও মোটরসাইকেল আছে, তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, ধোনির মালিকানায় আছে কনফেডারেট হেলক্যাট নামের একটি মোটরসাইকেল, যা মাত্র ১৫০টি তৈরি হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা নিজেকে এমন একজন মানুষ হিসেবে উল্লেখ করতে পছন্দ করেন, যিনি জীবনকে উপভোগ করেন। বাইরে বাইরে ঘোরাঘুরি ম্যাকগ্রার পছন্দ। তাঁর ভালো লাগে মোটরসাইকেল চালাতে। ম্যাকগ্রার সংগ্রহে আছে ডুকাটি মাল্টিস্ট্রাডা ১২০০ নামের একটি দামি মোটরসাইকেল। জন্টি রোডসের নাম তো সবারই জানা। দক্ষিণ আফ্রিকার এই ক্রিকেটার ফিল্ডিংকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর শখের তালিকায় আছে মোটরসাইকেল চালানো। জন্টির সংগ্রহে আছে রয়েল এনফিল্ড ক্ল্যাসিক-৩৫০ নামের একটি অভিজাত মোটরসাইকেল।
ইতিহাস গড়ে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি হাঁকালেন মুমিনুল
যে চন্দিকা হাথুরুসিংহে তাকে টেস্ট দল থেকে বাদ দিয়েছিলেন, সেই হাথুরুর বর্তমান দলের বিপক্ষে এক টেস্টের দুই ইনিংসে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি হাঁকালেন বাংলাদেশের 'লিটল মাস্টার' খ্যাত মুমিনুল হক। প্রথম ইনিংসে তিনি ১৭৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন। আজ ম্যাচের পঞ্চম দিনে দল যখন ইনিংস হারের শংকার মুখে ছিল, তখন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান লিটন দাসকে নিয়ে অনন্য এক জুটি উপহার দিলেন মুমিনুল। একই টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকানো প্রথম ব্যাটসম্যান লিটল মাস্টার।
এই দুজনের ব্যাটিংয়ে ইনিংস হারের শংকা কাটিয়ে এখন ম্যাচ বাঁচানোর পথে বাংলাদেশ। প্রচণ্ড চাপের মধ্যে দাঁড়িয়ে ১৫৪ বলে ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নিলেন মুমিনুল হক। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে বুনো উদযাপন করেছিলেন লিটল মাস্টার। আজ নিজস্ব স্টাইলেই উদযাপনে মাতলেন 'টেস্ট স্পেশালিস্ট'। নেচে উঠল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের গ্যালারি। বাংলাদেশের লিড ৩৮ রানের।
৩ উইকেটে ৮১ রান নিয়ে আজ পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। শুরু থেকেই সতর্ক ছিলেন অপরাজিত মুমিনুল হক এবং নতুন ব্যাটসম্যান লিটন দাস। ধীরে ধীরে তারা উইকেটে সেট হয়ে যান। ৭৮ বলে ১ চার ১ ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল। এরপর প্রথম ইনিংসে বাজেভাবে আউট হয়ে সমালোচিত লিটন দাস ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন ৯৩ বলে ৬ বাউন্ডারিতে।
এর আগে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করা ৫১৩ রানের জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসেই ৭১৩/৯ রানের পাহাড় গড়ে দিনেশ চান্দিমালের দল। শ্রীলঙ্কার চেয়ে ২০০ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে দিনের শেষ সময়টুকুতেই তিন শীর্ষ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল (৪১), ইমরুল কায়েস (১৯) এবং মুশফিকুর রহিম (২)
সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ পরীক্ষা ৯ ফেব্রুয়ারি
সিনিয়র স্টাফ নার্স পরীক্ষা ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে বাতিল হওয়া এই পরীক্ষা আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গত বছরের ৬ অক্টোবর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে এমসিকিউ পদ্ধতির ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে ওই পরীক্ষা বাতিল করে পিএসসি।
৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে। ঢাকার ১২টি কেন্দ্রে ১৬ হাজার ৯০০ পরীক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করবেন।
পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রার্থীরা ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। পরীক্ষা হলে কোনো বই, ব্যাগ, হাতঘড়ি, মোবাইল বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে চার হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ৬০০ মিডওয়াইফ নিয়োগ করা হবে পিএসসির অধীনে বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
Saturday, February 3, 2018
শিক্ষনীয় গল্প
কালো করে একটা মেয়ে ছোট একটা
জবের জন্য বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ঘুরে
বেড়াচ্ছে। সব রেস্টুরেন্টের মালিক
সোজা বলে দিচ্ছে, দেখো, আমাদের
এখানে কোনো লোক লাগবে না। অন্য
কোথাও যাও। কালো মেয়েটা হতাশ হয়ে
অন্য রেস্টুেরেন্টে যায়।
.
এভাবে একদিন জব পেয়ে গেলো এক
রেস্টুরেন্টে। মালিক প্রথম দিনই তাকে
বলে দিলো, কখনও দেরি করে আসা চলবে
না। তাহলে চাকরি বাতিল। সবকিছু মাথায় রেখেই
মেয়েটা কাজ করে যাচ্ছে রেস্টুরেন্টে।
খাবারের অর্ডার নিচ্ছে, তারপর খাবার পৌঁছে
দিচ্ছে টেবিলে টেবিলে। খাওয়া শেষ হওয়ার
পর টেবিল পরিস্কার করছে। কাজের কিছু
অদক্ষতায় বকাও খাচ্ছে প্রায় প্রতিদিন।
কখনও হয়তো কোনো কাস্টমারের সামনে
থেকে কফির মগ নিতে গিয়ে গায়ে একটু
কফি ফেলে দিয়েছে। কাস্টমার প্রচণ্ড
রেগে নালিশ করেছে মালিকের কাছে।
মেয়েটি হয়তো কাঁদো কাঁদো গলায়
মালিককে সরি বলে কোনোভাবে পার
পেয়ে গেছে।
গায়ের রঙ কালো বলে সম্ভবত
রেস্টুরেন্টের অন্য ছেলেরা তাকে খুব
একটা পাত্তাও দেয়নি কিংবা কোনোদিন তার
সহকর্মীর জন্মদিনে তার বাসায় গেলো।
কেক কাটার পর যে খাবার দেয়া হলো,
সহকর্মী লক্ষ্য করে দেখলো কালো
মেয়েটি সেটি একদমই খেতে পারছে না।
অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, খাবারে
সমস্যা কিনা। কালো মেয়েটি বললো, -না,
পেট ভরা, তাই খেতে পারছে না।
.
কোনোদিন হয়তো রেস্টুরেন্টের
অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে কম দামি গাড়িতে
করে কোথাও ঘুরতেও গিয়েছিলো কালো
মেয়েটি। কম দামি গাড়িতে বেশ কষ্টও
হয়েছে তার। মুখ খুলে কিছু বলেনি কাউকে।
সবকিছু চেপে গেছে আর ভেবে
নিয়েছে, আমি অন্য দশটি মানুষের মতোই
মানুষ। তারা পারলে আমি পারবো না কেনো।
.
দিন হয়তো এভাবেই যাচ্ছিলো। একদিন তার
সহকর্মীর কেউ একজন দেখলো যে,
কালো মেয়েটি রেস্টুরেন্ট থেকে
বের হওয়ার পর আড়াল থেকে ছয়জন
বিশালদেহি মানুষ তাকে ঘিরে রাখে।
রেস্টুরেন্টে শুরু হলো গুঞ্জন, কানাকানি।
এভাবে ঘটনা চলে যায় সাংবাদিকদের কাছে।
বেরিয়ে আসে কালো মেয়েটির পরিচয়।
সবাই জানতে পারে, কালো মেয়েটি
প্রেসিডেন্টের মেয়ে।
.
বিশ্ব জেনে যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক
ওবামার ছোট মেয়ে সাশা ওবামা নিজের পরিচয়
লুকিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে কাজ করছেন ।
গ্রীষ্মকালীন ছুটির ফাঁকে ম্যাসাচুসেটসের
মার্থাস ভিনিয়ার্ড নামের একটি দ্বীপের ওই
রেস্টুরেন্টে কাজ নিয়েছেন তিনি।
অনেকদিন পর্যন্ত সাশার সহকর্মীরাও তাকে
চিনতে পারেনি। পরে রেস্টুরেন্ট ঘিরে
সার্বক্ষণিক ছয়জন গোয়েন্দার অবস্থান
বিষয়টিকে স্পষ্ট করে তোলে।
এদিকে বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামা
বলেন, -"সন্তানদেরকে একটা বয়সের পরে
রাজকীয় বিলাসিতা ছাড়তে বাধ্য করেছি। কারণ
তাদের সাধারণ মানুষের সাথে মিশতে হবে।
অন্য দশটা মানুষের মতোই বাঁচতে শিখতে
হবে তাদের।"
-collected
জবের জন্য বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ঘুরে
বেড়াচ্ছে। সব রেস্টুরেন্টের মালিক
সোজা বলে দিচ্ছে, দেখো, আমাদের
এখানে কোনো লোক লাগবে না। অন্য
কোথাও যাও। কালো মেয়েটা হতাশ হয়ে
অন্য রেস্টুেরেন্টে যায়।
.
এভাবে একদিন জব পেয়ে গেলো এক
রেস্টুরেন্টে। মালিক প্রথম দিনই তাকে
বলে দিলো, কখনও দেরি করে আসা চলবে
না। তাহলে চাকরি বাতিল। সবকিছু মাথায় রেখেই
মেয়েটা কাজ করে যাচ্ছে রেস্টুরেন্টে।
খাবারের অর্ডার নিচ্ছে, তারপর খাবার পৌঁছে
দিচ্ছে টেবিলে টেবিলে। খাওয়া শেষ হওয়ার
পর টেবিল পরিস্কার করছে। কাজের কিছু
অদক্ষতায় বকাও খাচ্ছে প্রায় প্রতিদিন।
কখনও হয়তো কোনো কাস্টমারের সামনে
থেকে কফির মগ নিতে গিয়ে গায়ে একটু
কফি ফেলে দিয়েছে। কাস্টমার প্রচণ্ড
রেগে নালিশ করেছে মালিকের কাছে।
মেয়েটি হয়তো কাঁদো কাঁদো গলায়
মালিককে সরি বলে কোনোভাবে পার
পেয়ে গেছে।
গায়ের রঙ কালো বলে সম্ভবত
রেস্টুরেন্টের অন্য ছেলেরা তাকে খুব
একটা পাত্তাও দেয়নি কিংবা কোনোদিন তার
সহকর্মীর জন্মদিনে তার বাসায় গেলো।
কেক কাটার পর যে খাবার দেয়া হলো,
সহকর্মী লক্ষ্য করে দেখলো কালো
মেয়েটি সেটি একদমই খেতে পারছে না।
অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, খাবারে
সমস্যা কিনা। কালো মেয়েটি বললো, -না,
পেট ভরা, তাই খেতে পারছে না।
.
কোনোদিন হয়তো রেস্টুরেন্টের
অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে কম দামি গাড়িতে
করে কোথাও ঘুরতেও গিয়েছিলো কালো
মেয়েটি। কম দামি গাড়িতে বেশ কষ্টও
হয়েছে তার। মুখ খুলে কিছু বলেনি কাউকে।
সবকিছু চেপে গেছে আর ভেবে
নিয়েছে, আমি অন্য দশটি মানুষের মতোই
মানুষ। তারা পারলে আমি পারবো না কেনো।
.
দিন হয়তো এভাবেই যাচ্ছিলো। একদিন তার
সহকর্মীর কেউ একজন দেখলো যে,
কালো মেয়েটি রেস্টুরেন্ট থেকে
বের হওয়ার পর আড়াল থেকে ছয়জন
বিশালদেহি মানুষ তাকে ঘিরে রাখে।
রেস্টুরেন্টে শুরু হলো গুঞ্জন, কানাকানি।
এভাবে ঘটনা চলে যায় সাংবাদিকদের কাছে।
বেরিয়ে আসে কালো মেয়েটির পরিচয়।
সবাই জানতে পারে, কালো মেয়েটি
প্রেসিডেন্টের মেয়ে।
.
বিশ্ব জেনে যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক
ওবামার ছোট মেয়ে সাশা ওবামা নিজের পরিচয়
লুকিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে কাজ করছেন ।
গ্রীষ্মকালীন ছুটির ফাঁকে ম্যাসাচুসেটসের
মার্থাস ভিনিয়ার্ড নামের একটি দ্বীপের ওই
রেস্টুরেন্টে কাজ নিয়েছেন তিনি।
অনেকদিন পর্যন্ত সাশার সহকর্মীরাও তাকে
চিনতে পারেনি। পরে রেস্টুরেন্ট ঘিরে
সার্বক্ষণিক ছয়জন গোয়েন্দার অবস্থান
বিষয়টিকে স্পষ্ট করে তোলে।
এদিকে বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামা
বলেন, -"সন্তানদেরকে একটা বয়সের পরে
রাজকীয় বিলাসিতা ছাড়তে বাধ্য করেছি। কারণ
তাদের সাধারণ মানুষের সাথে মিশতে হবে।
অন্য দশটা মানুষের মতোই বাঁচতে শিখতে
হবে তাদের।"
-collected
‘ভয় নেই, বিএনপির সঙ্গে প্রশাসন-পুলিশ-সশস্ত্র বাহিনী আছে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, বিএনপির কোনো ভয় নেই। বিএনপির সঙ্গে প্রশাসন আছে, পুলিশ আছে, সশস্ত্র বাহিনী আছে। এ দেশের জনগণ আছে। দেশের বাইরে যাঁরা আছেন, তাঁরা আছেন। কাজেই বিএনপির কোনো ভয় নেই, ভয়টা আওয়ামী লীগের।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উদ্বোধনী পর্বে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকার প্রশাসনকে দলীয় নেতা–কর্মীদের মতো ব্যবহার করছে। তারা মনে করে, প্রশাসনকে ব্যবহার করে নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়া যায়। কিন্তু প্রশাসন যদি একটু সুযোগ পায়, তাহলে তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে। কেননা, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। তিনি আরও বলেন, পুলিশকে বাধ্য করা হচ্ছে অন্যায় ও দলীয় কাজ করতে।
বক্তব্যের শেষে এসে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি যেখানেই থাকি না কেন, আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। আমাকে কোনো ভয়ভীতি দেখিয়ে দমাতে পারেনি, পারবেও না। আমি দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আছি, দেশের মানুষের সঙ্গে আছি । খালেদা জিয়া বলেন, ‘সাহস সঞ্চার করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘আসুন, সবাই এই দেশটাকে রক্ষা করি, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনি।’
বক্তব্যের শেষে এসে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি যেখানেই থাকি না কেন, আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। আমাকে কোনো ভয়ভীতি দেখিয়ে দমাতে পারেনি, পারবেও না। আমি দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আছি, দেশের মানুষের সঙ্গে আছি । খালেদা জিয়া বলেন, ‘সাহস সঞ্চার করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘আসুন, সবাই এই দেশটাকে রক্ষা করি, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনি।’
ঐক্যের আহ্বান
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘গুম, খুনের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ জেগে উঠবে, ২০ দল জেগে উঠবে। সকল রাজনৈতিক দলকে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানাই। আজ দেশের এই অবস্থায় জাতীয় ঐক্য অনেক বেশি প্রয়োজন। আমরা কে কী পেলাম, সেটা বড় কথা নয়। আমাদের পাওয়া ওটাই হবে, যদি জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে দেশটাকে রক্ষা করতে পারি, তবে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় পাওয়া।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ দেশ জাগবে, জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠবে। সকলেই আমরা দেশ গড়ে তুলব। দেশ গড়ার জন্য অনেক লোকের প্রয়োজন হবে। সেখানে আজ যারা জুলুম-অত্যাচার করছে, তাদের সবাইকে মাফ করে দিয়েছি। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না, তাদেরও সঙ্গে নিতে আমরা কোনো দ্বিধা করব না।’
খালেদা জিয়া নেতা-কর্মীদের বলেন, ‘সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। বহু সংকট আসবে, ষড়যন্ত্র হবে এবং নানা রকমভাবে ভয়ভীতি দেখাবার চেষ্টা করবে, কিন্তু আমরা ভয়ে ভিতু নই।’
ক্ষমা একবার হয়, বারবার না
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘যারা সকল আন্দোলন-সংগ্রামে ছিল, যারা কাজ করেছে, যারা দলের সঙ্গে বেইমানি করেনি, দলে তাদের ভালো ভালো জায়গায় অবস্থান দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়, তাহলে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে অবশ্যই তারা মূল্যায়ন পাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু যারা বেইমানি করবে, এক পা এদিকে, আরেক পা ওদিকে রাখবে, তাদের কোনো মূল্যায়নের জায়গা নেই।’
আগে ক্ষমা করার উদাহরণ টেনে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তারপরও আমরা কিন্তু ক্ষমা করেছি। ক্ষমা একবার হয়, বারবার হয় না। তাই আমি বলতে চাই, বিপদ আসলে আসুন সকলে একসঙ্গে বিপদ মোকাবিলা করব। আর সুদিন আসলে একসঙ্গে সুন্দর করে দেশ গড়ব।’
দেশে ক্রান্তিকাল চলছে
খালেদা জিয়া বলেন, ‘দেশের ক্রান্তিকাল চলছে। আমরা এখানে সভা করতে চাইনি। ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, সোহরাওয়ার্দী ছিল, কিন্তু কেন সভা করতে দেওয়া হলো না। বিএনপি সবচেয়ে বড় দল। তারপরও বলবেন দেশে গণতন্ত্র আছে?’ তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল আইনের নামে নতুন কালাকানুন করা হচ্ছে। সাংবাদিকেরা সত্য কথা বলেন। সেই কথাগুলো যখন মানুষ শোনে, তখন জনগণের অধিকার হরণ করতে নতুন আইন করা হচ্ছে।
সঠিক রায়ের সুযোগ নেই
খালেদা জিয়া বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালত বলছেন নিম্ন আদালত সরকারের কবজায়। পত্রিকায় যা দেখছি, তাতে বোঝা যাচ্ছে, সঠিক রায় দেওয়ার সুযোগ নেই। সঠিক রায় দিলে কী পরিণতি হয়, তা তো দেখেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘তারেক রহমানের রায় দেওয়ার পর বিচারককে দেশ ছাড়তে হয়েছে। অপরাধ নেই। সেখানে কীসের বিচার হবে। কিন্তু তারা জোর করে বিচার করতে চায়।’
খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সময় মিলনায়তনে উপস্থিত নির্বাহী কমিটির সদস্যরা খালেদা জিয়ার নামে স্লোগান দেন। নেতারা স্লোগানে বলেন, ‘আমার নেত্রী আমার মা, বন্দী হতে দেব না।’ ‘আমার নেত্রী আমার মা, জেলে যেতে দেব না।’
নৌকা ডুবেছে?
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারের সমালোচনা করেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বলছে নির্বাচন হবে ডিসেম্বরে। ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে এত আগে প্রচারের কারণ কী? তিনি বলেন, ‘নৌকা এমন ডোবা ডুবছে, যে তোলার জন্য এত আগে ভোট চাইতে হচ্ছে? হাত তুলে ওয়াদা করাতে হচ্ছে।’
এর আগে ১১টা ৩৮ মিনিটে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ধারণকৃত একটি ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়।
এর আগে উদ্বোধনী পর্বে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া দলের পক্ষ থেকে শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভায় প্রয়াত নেতাদের পাশাপাশি শিক্ষাবিদ-শিল্পী-সাহিত্যিকসহ বিশিষ্টজনদের স্মরণ করে দেওয়া শোকপ্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
উইকেট ভাঙেনি, শরীর তো ভেঙেছে!
- বোলারদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশের ৫১৩ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কা ইনিংস ঘোষণা করেছে ৭১৩ রান তুলে।
- তাইজুল মনে করেন না শ্রীলঙ্কা আহামরি বোলিং করেছে।
টেস্ট-ওয়ানডে দুটিতেই তাঁর মতো স্বপ্নের সূচনা খুব কম ক্রিকেটারেরই হয়েছে। টেস্ট অভিষেকেই ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডও এই বাঁহাতি স্পিনারের। ওয়ানডে অভিষেকেই যে হ্যাটট্রিক করা যায়, সেটিও তাইজুলই প্রথম দেখিয়েছেন সবাইকে।
তাইজুলের আজও একটি রেকর্ড হলো। তবে আজকেরটি তিনি ভুলেই যেতে চাইবেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে বাঁহাতি স্পিনার ক্লান্তিহীন বোলিং করে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ড বইয়ে। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৭.৩ ওভার বোলিংয়ের রেকর্ডটা সাকিব আল হাসানের কাছ থেকে নিজের অধিকারে নিয়েছেন! টেস্টে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান (২১৯) দেওয়ার রেকর্ডটাও এখন তাইজুলের দখলে!
সব রেকর্ড সুখকর হয় না। তাইজুলেরও হচ্ছে না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে রেকর্ড দুটি আজ হয়েছে সেটি বিস্মৃতির সাগরে ডুবিয়ে রাখতে চান বাঁহাতি স্পিনার, ‘এটা যে খুব ভালো রেকর্ড, তা দেখছি না। ভালো বোলিং করলে এ রেকর্ডের কাছে যেতে হতো না। ভালো বোলিং করতে পারিনি বলেই হয়তো রেকর্ডটা হয়েছে।’
আজ শেষ সেশনে শ্রীলঙ্কার বোলারদের যদি ভুগিয়ে থাকেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা, তবে বাংলাদেশের বোলারদের কাঁদিয়ে ছেড়েছেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানরা! দুই দলের বোলিং যদি তুলনা করা হয়, শ্রীলঙ্কা নিশ্চয়ই এগিয়ে থাকবে! কিন্তু তাইজুল মনে করেন, ‘ওরা যে খুব ভালো বোলিং করেছে, তা বলব না। সেটা করলে আমরা এ সময়ের মধ্যে (আজ শেষ সেশনে) ৮০ রান (আসলে ৮১/৩) করতে পারতাম না। যে বল ভালো জায়গায় হয়েছে, তাতে ওরা সফল হয়েছে। আমা
দের উইকেট পড়ে গেছে। এ কারণে মনে হচ্ছে ওরা ভালো বোলিং করছে।’
আসলে এই টেস্টে চার দিনেও উইকেট ততটা ভাঙেনি। কিন্তু ২০০ ওভার বোলিং-ফিল্ডিং করার ক্লান্তি আর অবসাদ তো আছেই। চতুর্থ দিনের শেষে মনে হলো, দুদিন ধরে মাঠে থাকায় মুশফিকদের শরীর ভাঙছে। মানসিক স্থৈর্য দেখাতে পারছেন না। এর ছাপ পড়ছে খেলায়। টেস্ট ক্রিকেটের আসল পরীক্ষা তো এটাই। তাতে পাস করতে পারছে না বাংলাদেশ।
কাল প্রথম সেশনটা নিরাপদে পার করে দিতে না পারলে কী যে হবে!
শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন
দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। বঙ্গভবনে আজ শনিবার সন্ধ্যায় তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধান বিচারপতিরা, মন্ত্রিসভার সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকসহ অন্যান্য পদস্থরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর সন্ধ্যায় পদত্যাগ করেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা।
১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্ম নেয়া বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি পদে থাকবেন।
বিএসসি ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর লন্ডন ইউনিভার্সিটিতে দু’টি কোর্স সম্পন্ন করা বিচারপ
তি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯৯ সালে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী থাকা অবস্থায় ২০০১ সালের ২২ ফ্রেব্রুয়ারি নিয়োগ পান অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে। দুই বছর পর ২০০৩ সালে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হন।
পরবর্তীতে ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
গত বছরের ১০ নভেম্বর সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগের পর থেকে পদটি শূন্য হয়ে যায়। এর আগে অক্টোবরে অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটি নেন তিনি।
ওই সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা।
প্রাণের ক্যাম্পাস ঢাকা কলেজ
প্রতিষ্ঠার পটভূমি
১৮৪১ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জুলাই তারিখে রবিবার শুভদিনে উপমহাদেশের প্রথম আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেব ঢাকা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয। গবেষণার ভিত্তিতে ইতিহাসবিদগণ ১৮৪১ সালের ১৮ জুলাই রবিবার শুভদিনে ঢাকা কলেজের সূচনাকাল হিসেবে উল্লেখ করেন।
১৮৪১ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জুলাই তারিখে রবিবার শুভদিনে উপমহাদেশের প্রথম আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেব ঢাকা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয। গবেষণার ভিত্তিতে ইতিহাসবিদগণ ১৮৪১ সালের ১৮ জুলাই রবিবার শুভদিনে ঢাকা কলেজের সূচনাকাল হিসেবে উল্লেখ করেন।
প্রথম ঢাকা কলেজ ভবন
১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের পলাশীর যুদ্ধে বিজযী হয়ে ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দের বাংলা, বিহার এবং উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভ করে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিযা কোম্পানি এবং প্রকৃতপক্ষেই তারা এ অঞ্চলের শাসকে পরিণত হয। ইংরেজরা এসময় নিজেদের শাসক হিসেবে পরিচয় না দিলেও ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে গভর্ণর ওয়ারেন হেস্টিংস এ মুখোশ খুলে দিয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হয়ে সরাসরি এ দেশের শাসনভার গ্রহণ করে। এরপর পরবর্তী ৬২ বছর পর্যন্ত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসকগণ তাদের রাজত্বের অধিবাসীদের জন্য কোনো শিক্ষানীতি প্রণয়ন বা কোন প্রাতিষ্ঠানিক ও সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এ দীর্ঘ সময়ে এ অঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থা ঐতিহ্যগতভাবেই চলছিলো। অবশেষে ১৮৩০-এর দশকে সরকার এক শিক্ষানীতি গ্রহণ করে এবং সে নীতিমালায় যে শিক্ষানীতির প্রচলন হয়, তা মূলত পাশ্চাত্য বা ইংরেজি শিক্ষা নামে পরিচিতি পায়।
১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের পলাশীর যুদ্ধে বিজযী হয়ে ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দের বাংলা, বিহার এবং উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভ করে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিযা কোম্পানি এবং প্রকৃতপক্ষেই তারা এ অঞ্চলের শাসকে পরিণত হয। ইংরেজরা এসময় নিজেদের শাসক হিসেবে পরিচয় না দিলেও ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে গভর্ণর ওয়ারেন হেস্টিংস এ মুখোশ খুলে দিয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হয়ে সরাসরি এ দেশের শাসনভার গ্রহণ করে। এরপর পরবর্তী ৬২ বছর পর্যন্ত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসকগণ তাদের রাজত্বের অধিবাসীদের জন্য কোনো শিক্ষানীতি প্রণয়ন বা কোন প্রাতিষ্ঠানিক ও সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এ দীর্ঘ সময়ে এ অঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থা ঐতিহ্যগতভাবেই চলছিলো। অবশেষে ১৮৩০-এর দশকে সরকার এক শিক্ষানীতি গ্রহণ করে এবং সে নীতিমালায় যে শিক্ষানীতির প্রচলন হয়, তা মূলত পাশ্চাত্য বা ইংরেজি শিক্ষা নামে পরিচিতি পায়।
এ আধুনিক ধারার শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলনের জন্য সেসময়ে ঢাকাতে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠলেও- শিক্ষা প্রসারের চেয়ে, ধর্ম প্রচার সেখানে মুখ্য হয়ে ওঠে। ফলে উল্লেখ করার মতো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেখানে গঙে ওঠেনি। পরবর্তীকালে, ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের ২০ এপ্রিল দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কিত দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ জেনারেল কমিটি অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন (এবহবৎধষ ঈড়সসরঃঃবব ড়ভ চঁনষরপ ওহংঃৎঁপঃরড়হ) লর্ড বেন্টিকের নিকট একটি প্রতিবেদন পেশ করে, যেখানে বলা হয়: সরকারের তত্ত¡াবধানে বাংলা প্রেসিডেন্সির প্রধান প্রধান জনবহুল শহরে ইংরেজি সাহিত্য এবং বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য যতগুলো সম্ভব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হোক। পরবর্তীকালে এ প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য ঢাকার কর্মকর্তাদের নিকট এ সংক্রান্ত চিঠি প্রদান করা হলে ঢাকার সেসময়ের সিভিল সার্জন ডা: জেমস টেইলার (উৎ. ঔধসবং ঞধরষবৎ) জানান যে, এখানে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা যে কেবল উচিতই নয়, বরং এর জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রকারের সুবিধা (আর্থিক এবং সামাজিক) পাওয়া যাবে। মূলত তখন থেকেই শুরু হওয়া বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১৮৩৫ সালের ১৫ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় ঢাকা ইংলিশ সেমিনারী যা বর্তমানে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল নামে পরিচিত।
এ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতে একদিকে যেমন বদলে যেতে থাকে সমাজের সামগ্রিক চালচিত্র, তেমনি বিদ্যার্থীদের মানসসম্মুখে পাশ্চাত্যের কলাবিদ্যা, বিজ্ঞান এবং দর্শনকে উন্মোচিত করে। শিক্ষা এবং সমাজব্যবস্থার এ ইতিবাচক পরিবর্তনে সেসময়ের গভর্নর জেনারেল লর্ড অকল্যান্ড এবং জেনারেল কমিটি অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন (এবহবৎধষ ঈড়সসরঃঃবব ড়ভ চঁনষরপ ওহংঃৎঁপঃরড়হ) কতগুলো কেন্দ্রীয় কলেজ প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেন। এর প্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত ব্যয়ের কথা উল্লেখ এবং কর্তৃপক্ষ দ্বারা তার যথাযথ অনুমোদনসাপেক্ষে ১৮৪১ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা ইংলিশ সেমিনারী স্কুলকে একটি কলেজে বা একটি আঞ্চলিক উচ্চতর ইংরেজি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করা হয়, যার নাম দেয়া হয় ঢাকা সেন্ট্রাল কলেজ বা সংক্ষেপে ঢাকা কলেজ এবং ঢাকা ইংলিশ সেমিনারী স্কুলের নাম দেওয়া হয় ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল। বলাবাহুল্য, এ কলেজ প্রতিষ্ঠার পরপরই বদলে যায় সমগ্র ঢাকার চালচিত্র। ঢাকা হয়ে ওঠে সমগ্র পূর্ববাংলার ইংরেজি শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র।
কেমব্রীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং হিন্দু কলেজের শিক্ষক জে. আয়ারল্যান্ডকে ঢাকা কলেজের প্রথম প্রিন্সিপাল নিযুক্ত করা হয়। তাঁর আগমনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যেতে থাকে ঢাকা কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক এবং শিক্ষাগত ব্যবস্থাপনার ভিত্তি। সে অর্থে আয়ারল্যান্ডই ঢাকা কলেজের সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ সংগঠক। তিনি কলেজের শিক্ষাদান ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনেন।
কেমব্রীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং হিন্দু কলেজের শিক্ষক জে. আয়ারল্যান্ডকে ঢাকা কলেজের প্রথম প্রিন্সিপাল নিযুক্ত করা হয়। তাঁর আগমনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যেতে থাকে ঢাকা কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক এবং শিক্ষাগত ব্যবস্থাপনার ভিত্তি। সে অর্থে আয়ারল্যান্ডই ঢাকা কলেজের সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ সংগঠক। তিনি কলেজের শিক্ষাদান ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনেন।
কলেজ ভবন
উনিশ শতকের ঢাকা নগরীর ইতিহাসের এক ক্রান্তিলন্তে, অনেক আশা ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে সরকারি উদ্যোগ এবং জনগণের উৎসাহ ও সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত ঢাকা কলেজ ভবনটিরও রয়েছে এক রোমাঞ্চকর ইতিহাস। শুরুতে কলেজটি পূর্বের স্থাপিত ঢাকা গর্ভনমেন্ট স্কুলের সঙ্গে সংযুক্ত করে গঙে তোলা হলেও অতি শিগগিরই এটির জন্য একটি পৃথক ভবন প্রয়োজন হয়। তবে এবিষয়ে সরকারের খুব একটা সদিচ্ছা ছিলো না। কলেজ ভবন নির্মাণের জন্য সরকার স্থানীয়ভাবে একটি কমিটি গঠন করে। তবে কলেজ ভবন তৈরি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াবলীর দায়িত্ব তদারকি করে জেনারেল কমিটি অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন। ভবনটির নকশা তৈরি এবং নির্মাণের দায়িত্ব পায় মিলিটারি বোর্ড। ১৮৪১ খ্রিস্টাব্দের ২০ নভে¤^র কলকাতার তৎকালীন বিশপ রেভারেন্ড ড্যানিয়েল “ঢাকা কলেজ” হিসেবে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রতিষ্ঠালগ্নে ঢাকা কলেজের ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো বুড়িগঙ্গার তীরে । সদরঘাটের স্থপতি কর্নেল গ্যাসর্টিন, এর নকশা করেন। খাঁটি ব্রিটিশ ঢঙে, বিলাতি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির আদলে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানটি পালন করা হয়। অনুষ্ঠান উপলক্ষে রেভারেন্ড ড্যানিয়েল একটি যথাযথ এবং প্রাসঙ্গিক বক্তৃতা প্রদান করেন।
উনিশ শতকের ঢাকা নগরীর ইতিহাসের এক ক্রান্তিলন্তে, অনেক আশা ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে সরকারি উদ্যোগ এবং জনগণের উৎসাহ ও সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত ঢাকা কলেজ ভবনটিরও রয়েছে এক রোমাঞ্চকর ইতিহাস। শুরুতে কলেজটি পূর্বের স্থাপিত ঢাকা গর্ভনমেন্ট স্কুলের সঙ্গে সংযুক্ত করে গঙে তোলা হলেও অতি শিগগিরই এটির জন্য একটি পৃথক ভবন প্রয়োজন হয়। তবে এবিষয়ে সরকারের খুব একটা সদিচ্ছা ছিলো না। কলেজ ভবন নির্মাণের জন্য সরকার স্থানীয়ভাবে একটি কমিটি গঠন করে। তবে কলেজ ভবন তৈরি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াবলীর দায়িত্ব তদারকি করে জেনারেল কমিটি অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন। ভবনটির নকশা তৈরি এবং নির্মাণের দায়িত্ব পায় মিলিটারি বোর্ড। ১৮৪১ খ্রিস্টাব্দের ২০ নভে¤^র কলকাতার তৎকালীন বিশপ রেভারেন্ড ড্যানিয়েল “ঢাকা কলেজ” হিসেবে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রতিষ্ঠালগ্নে ঢাকা কলেজের ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো বুড়িগঙ্গার তীরে । সদরঘাটের স্থপতি কর্নেল গ্যাসর্টিন, এর নকশা করেন। খাঁটি ব্রিটিশ ঢঙে, বিলাতি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির আদলে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানটি পালন করা হয়। অনুষ্ঠান উপলক্ষে রেভারেন্ড ড্যানিয়েল একটি যথাযথ এবং প্রাসঙ্গিক বক্তৃতা প্রদান করেন।
একুশ শতক
একুশ শতকে ঢাকা কলেজ, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান এবং শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাঙ্গন। এর ছাত্রসংখ্যা প্রায় ২০,০০০। এখানে এখন উচ্চ মাধ্যমিক পাঠ্যক্রমের সাথে সাথে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ১৯টি বিষয়ে শিক্ষাদান কার্যক্রম চালু রয়েছে । ছাত্রদের জন্য ঢাকা কলেজে ৭টি ছাত্রাবাস রয়েছে । এসব ছাত্রাবাসে ছাত্রদের আধুনিক এবং উন্নত জীবনযাত্রা নিশ্চিত করে থাকে।
একুশ শতকে ঢাকা কলেজ, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান এবং শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাঙ্গন। এর ছাত্রসংখ্যা প্রায় ২০,০০০। এখানে এখন উচ্চ মাধ্যমিক পাঠ্যক্রমের সাথে সাথে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ১৯টি বিষয়ে শিক্ষাদান কার্যক্রম চালু রয়েছে । ছাত্রদের জন্য ঢাকা কলেজে ৭টি ছাত্রাবাস রয়েছে । এসব ছাত্রাবাসে ছাত্রদের আধুনিক এবং উন্নত জীবনযাত্রা নিশ্চিত করে থাকে।
বিভাগ সমূহ
১. বাংলা
২. ইংরেজি
৩. পদার্থবিজ্ঞান
৪. রসায়ন
৫. গণিত
৬. জীববিজ্ঞান
৭. ইতিহা
৮. রাষ্ট্রবিজ্ঞান
৯. ইসলামের ইতিহাস
১০. সমাজবিজ্ঞান
১১. মনোবিজ্ঞান
১২. ভূগোল
১৩. ব্যাবস্থাপনা
১৪. পরিসংখ্যান
১৫. হিসাববিজ্ঞান
১৬. উদ্ভিদবিজ্ঞান
১৭. গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান
১৮. অর্থনীতি
১৯. আরবি ও ইসলাম শিক্ষা
২০. ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান
২১. দর্শন।
১. বাংলা
২. ইংরেজি
৩. পদার্থবিজ্ঞান
৪. রসায়ন
৫. গণিত
৬. জীববিজ্ঞান
৭. ইতিহা
৮. রাষ্ট্রবিজ্ঞান
৯. ইসলামের ইতিহাস
১০. সমাজবিজ্ঞান
১১. মনোবিজ্ঞান
১২. ভূগোল
১৩. ব্যাবস্থাপনা
১৪. পরিসংখ্যান
১৫. হিসাববিজ্ঞান
১৬. উদ্ভিদবিজ্ঞান
১৭. গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান
১৮. অর্থনীতি
১৯. আরবি ও ইসলাম শিক্ষা
২০. ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান
২১. দর্শন।
আবাসিক হলসমূহ
ঢাকা কলেজে রয়েছে ৭টি ছাত্রাবাস। সেগুলো হল-
১. উত্তর ছাত্রাবাস
২. দক্ষিণ ছাত্রাবাস
৩. পশ্চিম ছাত্রাবাস
৪. আর্ন্তজাতিক ছাত্রাবাস
৫. ইলিয়াস হল
৬. দক্ষিণা ছাত্রাবাস
৭. শেখ কামাল ছাত্রাবাস।
ঢাকা কলেজে রয়েছে ৭টি ছাত্রাবাস। সেগুলো হল-
১. উত্তর ছাত্রাবাস
২. দক্ষিণ ছাত্রাবাস
৩. পশ্চিম ছাত্রাবাস
৪. আর্ন্তজাতিক ছাত্রাবাস
৫. ইলিয়াস হল
৬. দক্ষিণা ছাত্রাবাস
৭. শেখ কামাল ছাত্রাবাস।
সংগঠন
রাজনৈতিক সংগঠন-
১. বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
২. বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
৩. ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন
৪. সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ইত্যাদি
রাজনৈতিক সংগঠন-
১. বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
২. বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
৩. ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন
৪. সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ইত্যাদি
সাংস্কৃতিক সংগঠন-
১. চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
২. ঢাকা কলেজ বিতর্ক ক্লাব
১. চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
২. ঢাকা কলেজ বিতর্ক ক্লাব
বিজ্ঞান সংগঠন-
১. বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ
২. বাংলাদেশ ওপেন সায়েন্স অর্গানাইজেশন
৩. ঢাকা কলেজ বিজ্ঞান ক্লাব
১. বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ
২. বাংলাদেশ ওপেন সায়েন্স অর্গানাইজেশন
৩. ঢাকা কলেজ বিজ্ঞান ক্লাব
Subscribe to:
Posts (Atom)