Sunday, March 25, 2018

বাংলাদেশে কোটার চিত্রঃ

বাংলাদেশে কোটার চিত্রঃ
================
বিসিএসে কোটার বিন্যাসঃ
----------------------------------
মুক্তিযোদ্ধার কোটাঃ ৩০%
নারী কোটাঃ ১০%
জেলা কোটাঃ ১০%
উপজাতি কোটা ৫%
প্রতিবন্ধি কোটা ১%
-----------------------------
মোটঃ ৫৬% কোটা মাত্র

১ম ও ২য় শ্রেণী নন ক্যাডার জবে কোটার বিন্যাসঃ
------------------------------------------------------
মুক্তিযোদ্ধার কোটাঃ ৩০%
নারী কোটাঃ ১৫%
জেলা কোটাঃ ১০%
উপজাতি কোটা ৫%
প্রতিবন্ধি কোটা ১%
-----------------------------
মোটঃ ৬১% কোটা মাত্র
** ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর জবে কোটা ৭০% মাত্র
** রেলওয়েতে কোটা ৮২% মাত্র।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কোটার বিন্যাসঃ
---------------------------------------------------
নারী কোটা ৬০%
মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০%
পোষ্য কোটা ৫%
প্রতিবন্ধি কোটা ১%
------------------------
মোটঃ ৯৬% কোটা মাত্র

ইডেনের চার ছাত্রীকে হয়রানির অভিযোগে চাঁদনি চকের ৪ কর্মচারী আটক

ইডেন কলেজের চার শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলার অভিযোগে রাজধানীর চাঁদনি চক মার্কেটের দুই দোকানের চার কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটকদের বিরুদ্ধে ইভটিজিং এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে চাঁদনি চক মার্কেট থেকে তাদের আটক করে নিউমার্কেট থানায় আনা হয়। আটকরা হলেন শাহনুর ফেব্রিক্সের কর্মচারী নজরুল ইসলাম, আল-আমিন এবং আবুল হোসেন। আরেকজন পাশের দোকানের নয়ন।
জানা যায় শুক্রবার ইডেনের চার শিক্ষার্থী কেনাকাটা করতে চাঁদনি চকে আসে। তাদের সঙ্গে একজনের মা এবং খালা ছিলেন। ভিড়ের কারণে মা ও খালা তাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। পরে মা ও খালা শাহনুর ফেব্রিক্সের সামনে দাঁড়িয়ে তাদের ফোন দিয়ে নিয়ে যেতে বলে।
এসময় তাদের হাতে থাকা দুইটি কাপড়ের বড় ব্যাগ শাহনুর ফেব্রিক্সের গেটের পাশে রাখে। তখন কর্মচারীরা অভিযোগ করে ব্যাগের কারণে দোকানে ক্রেতাদের ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে। এসময় তারা ওই দুই নারীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। এর কিছুক্ষণ পর ওই শিক্ষার্থীরা দোকানে এলে কর্মচারীদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে এক কর্মচারী তাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় এবং দীর্ঘক্ষণ অশ্লীল মন্তব্য করে।

নিউ মার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, শনিবার সকালে নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ করার পর চাঁদনি চকে অভিযান চালিয়ে ওই চার কর্মচারীকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ইভটিজিং এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা হচ্ছে।

বাস্তবতা

৫ হাজার টাকার টিউশনি একটা সাধারন ছেলেকে ৫০-৭০ ভাগ কমিশন দিয়ে নিতে হয় ।
গার্ডিয়ান এই ছেলেগুলোকে মানুষ মনে করে না । মনে করে মাঠের কামলা । প্রথম মাস শেষ । মিডিয়া ফি দিয়ে টিউশনি নেয়া হয়ে গেছে । অথচ স্যালারির খবর নাই ।
ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্র । বাপ মা তার থেকেও আধুনিক । টিচার থেকে শতভাগ বের করে নিতে বদ্ধপরিকর । দুইটা ঘন্টা পড়াতে হয় । ছাত্রের মা বসে থাকে ।
এদিকে টিউশন ধরিয়ে মিডিয়াও লাপাত্তা ।
মাস শেষে সাধারন ছেলেটা পড়ে গ্যাড়াকলে । একদিকে গার্ডিয়ানের কাছে টাকা চাওয়ার সংকোচ । অন্যদিকে মিডিয়াকে ফোন দিলে ধরে না ।
প্রথম মাস কেটে যায় । বেতন নাই । ছেলেটা বন্ধুদের থেকে টাকা ধার করে চলে । প্রতিশ্রুতি দেয় দুই মাসের বেতন একসাথে পেলেই টাকা দিয়ে দেবো সব ।
দ্বিগুন উৎসাহে আরেকটু ডেডিকেশন দিয়ে টিউশনি করায় । আশা এই যে ,আন্টি হয়তো একটু বুঝবে । হয়তো টাকাটা দিয়ে দেবে ।
হিন্দি সিরিয়ালের ভিলেন মহিলা থেকেও খারাপ মহিলা টাকা আটকে রাখে । দেয় না কিছুই । জিজ্ঞেস করলে অজুহাত ...
স্যার ...এই সমস্যা ...সেই সমস্যা ...বুঝতেই তো পারছেন । আপনার ছাত্র একটু ডেডিকেশন নিয়ে পড়াবেন !! তাই না !! টাকা তো আর চলে যাচ্ছে না ।
তিন মাস যায় । এইবার টাকা আসে । তবে অর্ধেকেরও কম । মাত্র ৫ হাজার টাকা । বাকি টাকার খবর নাই । \
আন্টি ...বাকি টাকা কই ?
বাবা ...এরকম টাকা টাকা করলে তো হবে না তাই না ? টিউশন করাতে হয় নিঃসার্থ ভাবে !!
এরকম টিউশন করাতে গিয়ে মেসের বেতন বাকি । দোকানের বকেয়া অনেক । খেতে গেলেও লজ্জা লাগে । বন্ধুদের দেনা বাকি । আমরা ভিলেন মহিলা দেখি নাই । বেতন আটকে দেয়া আন্টি দেখেছি ।
আমরা ক্রিমিনাল দেখি নাই । টিউশন মিডিয়া দেখেছি ।
একটা সাধারন ছেলের টাকার ""প্রয়োজন "" নিয়ে মিডিয়া আর গার্ডিয়ান গ্রুপের এই যৌথ ফুটবল খেলায় ,ছেলেটা সবসময় খেলা ছেড়ে চলে আসে । পারা সম্ভব না এদের সাথে !!
গল্প শুনি এভাবে ...
ভাই ... চার মাসের ১২ হাজার টাকা বাকি । ছাত্রের বাবা হজ করে এসেছেন এক টাকাও পাই নি আমি ।
ভাই ... দুই মাসের বেতনের অর্ধেকটা দিয়েছে । বাকীটা দেয় নাই ।
ক্যাম্পাসগুলোর মারদাঙ্গা টাইপের গুন্ডা ছেলেদের পেছনে তাই এরকম বঞ্চিত হওয়া সাধারন ছাত্রদের সংখ্যাও একেবারে কম নয় । অনেক বেশি । আমাদের এগিয়ে চলার গল্পে এরকম বঞ্চিত হওয়ার ট্রাজেডিটা না থাকলে আমরা এতোটা এগিয়ে যেতে পারতাম না ।
আমরা পারতাম না কমান্ডো স্টাইলে মাত্র ৫০ টাকায় মাসের শেষ দশ দিন পার করতে !!
আমরা জানতাম না শুধু মুখের কথায় কনভিন্স করে একটা দোকানে দিনের পর দিন বাকি খাওয়া দাওয়া করতে !!
বাংলাদেশের ক্যাম্পাসগুলো তাই অলিখিতভাবে কিছু কমান্ডোই তৈরি করে ,যারা ফাকা পকেটেও বাস চড়তে পারে । আবার বিনয় দেখিয়ে সিটও ছাড়তে পারে ।
যারা ক্ষেপে গেলে বাস ভাঙতেও পারে । আবার ছাত্রের কথা চিন্তা করে টিউশনের টাকা না পেয়েও কাটিয়ে দিতে পারে

ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজে মাস্টার্স ১৫-১৬ তে ৭ কলেজের বাহিরের কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি হওয়া যাবে..