Sunday, March 25, 2018

বাংলাদেশে কোটার চিত্রঃ

বাংলাদেশে কোটার চিত্রঃ
================
বিসিএসে কোটার বিন্যাসঃ
----------------------------------
মুক্তিযোদ্ধার কোটাঃ ৩০%
নারী কোটাঃ ১০%
জেলা কোটাঃ ১০%
উপজাতি কোটা ৫%
প্রতিবন্ধি কোটা ১%
-----------------------------
মোটঃ ৫৬% কোটা মাত্র

১ম ও ২য় শ্রেণী নন ক্যাডার জবে কোটার বিন্যাসঃ
------------------------------------------------------
মুক্তিযোদ্ধার কোটাঃ ৩০%
নারী কোটাঃ ১৫%
জেলা কোটাঃ ১০%
উপজাতি কোটা ৫%
প্রতিবন্ধি কোটা ১%
-----------------------------
মোটঃ ৬১% কোটা মাত্র
** ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর জবে কোটা ৭০% মাত্র
** রেলওয়েতে কোটা ৮২% মাত্র।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কোটার বিন্যাসঃ
---------------------------------------------------
নারী কোটা ৬০%
মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০%
পোষ্য কোটা ৫%
প্রতিবন্ধি কোটা ১%
------------------------
মোটঃ ৯৬% কোটা মাত্র

ইডেনের চার ছাত্রীকে হয়রানির অভিযোগে চাঁদনি চকের ৪ কর্মচারী আটক

ইডেন কলেজের চার শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলার অভিযোগে রাজধানীর চাঁদনি চক মার্কেটের দুই দোকানের চার কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটকদের বিরুদ্ধে ইভটিজিং এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে চাঁদনি চক মার্কেট থেকে তাদের আটক করে নিউমার্কেট থানায় আনা হয়। আটকরা হলেন শাহনুর ফেব্রিক্সের কর্মচারী নজরুল ইসলাম, আল-আমিন এবং আবুল হোসেন। আরেকজন পাশের দোকানের নয়ন।
জানা যায় শুক্রবার ইডেনের চার শিক্ষার্থী কেনাকাটা করতে চাঁদনি চকে আসে। তাদের সঙ্গে একজনের মা এবং খালা ছিলেন। ভিড়ের কারণে মা ও খালা তাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। পরে মা ও খালা শাহনুর ফেব্রিক্সের সামনে দাঁড়িয়ে তাদের ফোন দিয়ে নিয়ে যেতে বলে।
এসময় তাদের হাতে থাকা দুইটি কাপড়ের বড় ব্যাগ শাহনুর ফেব্রিক্সের গেটের পাশে রাখে। তখন কর্মচারীরা অভিযোগ করে ব্যাগের কারণে দোকানে ক্রেতাদের ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে। এসময় তারা ওই দুই নারীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। এর কিছুক্ষণ পর ওই শিক্ষার্থীরা দোকানে এলে কর্মচারীদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে এক কর্মচারী তাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় এবং দীর্ঘক্ষণ অশ্লীল মন্তব্য করে।

নিউ মার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, শনিবার সকালে নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ করার পর চাঁদনি চকে অভিযান চালিয়ে ওই চার কর্মচারীকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ইভটিজিং এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা হচ্ছে।

বাস্তবতা

৫ হাজার টাকার টিউশনি একটা সাধারন ছেলেকে ৫০-৭০ ভাগ কমিশন দিয়ে নিতে হয় ।
গার্ডিয়ান এই ছেলেগুলোকে মানুষ মনে করে না । মনে করে মাঠের কামলা । প্রথম মাস শেষ । মিডিয়া ফি দিয়ে টিউশনি নেয়া হয়ে গেছে । অথচ স্যালারির খবর নাই ।
ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্র । বাপ মা তার থেকেও আধুনিক । টিচার থেকে শতভাগ বের করে নিতে বদ্ধপরিকর । দুইটা ঘন্টা পড়াতে হয় । ছাত্রের মা বসে থাকে ।
এদিকে টিউশন ধরিয়ে মিডিয়াও লাপাত্তা ।
মাস শেষে সাধারন ছেলেটা পড়ে গ্যাড়াকলে । একদিকে গার্ডিয়ানের কাছে টাকা চাওয়ার সংকোচ । অন্যদিকে মিডিয়াকে ফোন দিলে ধরে না ।
প্রথম মাস কেটে যায় । বেতন নাই । ছেলেটা বন্ধুদের থেকে টাকা ধার করে চলে । প্রতিশ্রুতি দেয় দুই মাসের বেতন একসাথে পেলেই টাকা দিয়ে দেবো সব ।
দ্বিগুন উৎসাহে আরেকটু ডেডিকেশন দিয়ে টিউশনি করায় । আশা এই যে ,আন্টি হয়তো একটু বুঝবে । হয়তো টাকাটা দিয়ে দেবে ।
হিন্দি সিরিয়ালের ভিলেন মহিলা থেকেও খারাপ মহিলা টাকা আটকে রাখে । দেয় না কিছুই । জিজ্ঞেস করলে অজুহাত ...
স্যার ...এই সমস্যা ...সেই সমস্যা ...বুঝতেই তো পারছেন । আপনার ছাত্র একটু ডেডিকেশন নিয়ে পড়াবেন !! তাই না !! টাকা তো আর চলে যাচ্ছে না ।
তিন মাস যায় । এইবার টাকা আসে । তবে অর্ধেকেরও কম । মাত্র ৫ হাজার টাকা । বাকি টাকার খবর নাই । \
আন্টি ...বাকি টাকা কই ?
বাবা ...এরকম টাকা টাকা করলে তো হবে না তাই না ? টিউশন করাতে হয় নিঃসার্থ ভাবে !!
এরকম টিউশন করাতে গিয়ে মেসের বেতন বাকি । দোকানের বকেয়া অনেক । খেতে গেলেও লজ্জা লাগে । বন্ধুদের দেনা বাকি । আমরা ভিলেন মহিলা দেখি নাই । বেতন আটকে দেয়া আন্টি দেখেছি ।
আমরা ক্রিমিনাল দেখি নাই । টিউশন মিডিয়া দেখেছি ।
একটা সাধারন ছেলের টাকার ""প্রয়োজন "" নিয়ে মিডিয়া আর গার্ডিয়ান গ্রুপের এই যৌথ ফুটবল খেলায় ,ছেলেটা সবসময় খেলা ছেড়ে চলে আসে । পারা সম্ভব না এদের সাথে !!
গল্প শুনি এভাবে ...
ভাই ... চার মাসের ১২ হাজার টাকা বাকি । ছাত্রের বাবা হজ করে এসেছেন এক টাকাও পাই নি আমি ।
ভাই ... দুই মাসের বেতনের অর্ধেকটা দিয়েছে । বাকীটা দেয় নাই ।
ক্যাম্পাসগুলোর মারদাঙ্গা টাইপের গুন্ডা ছেলেদের পেছনে তাই এরকম বঞ্চিত হওয়া সাধারন ছাত্রদের সংখ্যাও একেবারে কম নয় । অনেক বেশি । আমাদের এগিয়ে চলার গল্পে এরকম বঞ্চিত হওয়ার ট্রাজেডিটা না থাকলে আমরা এতোটা এগিয়ে যেতে পারতাম না ।
আমরা পারতাম না কমান্ডো স্টাইলে মাত্র ৫০ টাকায় মাসের শেষ দশ দিন পার করতে !!
আমরা জানতাম না শুধু মুখের কথায় কনভিন্স করে একটা দোকানে দিনের পর দিন বাকি খাওয়া দাওয়া করতে !!
বাংলাদেশের ক্যাম্পাসগুলো তাই অলিখিতভাবে কিছু কমান্ডোই তৈরি করে ,যারা ফাকা পকেটেও বাস চড়তে পারে । আবার বিনয় দেখিয়ে সিটও ছাড়তে পারে ।
যারা ক্ষেপে গেলে বাস ভাঙতেও পারে । আবার ছাত্রের কথা চিন্তা করে টিউশনের টাকা না পেয়েও কাটিয়ে দিতে পারে

ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজে মাস্টার্স ১৫-১৬ তে ৭ কলেজের বাহিরের কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি হওয়া যাবে..


Wednesday, February 14, 2018

মাশরাফি–তামিমের অন্য রকম ‘তর্ক’

আজ অনুশীলনের পর দুপুরে একটা সমাবেশ (নাকি জম্পেশ আড্ডা হলো মিরপুরে ‘সাকিব কনভেনশন হলে’)। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে ক্রিকেটার-সাংবাদিকেরা এক বিন্দুতে মিললেন। তবে উপলক্ষটা ক্রিকেট ছিল না, ছিল অন্য কিছু। 
সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক সাইদ জামান একটি বই লিখেছেন। বাংলাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত এই বইটির নাম ‘ব্রাজিল’। বোঝাই গেল, লেখক এটি ক্রিকেট নিয়ে লেখেননি। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিক কাভার করেছিলেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই লেখা বইটি। মজাটা হচ্ছে, ‘অক্রিকেটীয়’ এই বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান জমিয়ে তুললেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাই।
ব্রাজিল নিয়ে বই হলো, আর্জেন্টিনাকে নিয়ে কেন নয়—লেখককে এমন প্রশ্নই করলেন ‘আর্জেন্টিনা অন্তঃপ্রাণ’ মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক আকাশি-নীলদের ভালোবাসেন ডিয়েগো ম্যারাডোনার কারণে। তাই বলে ব্রাজিলের প্রতি কোনো ‘বিদ্বেষ’ তাঁর নেই, ‘আর্জেন্টিনা সমর্থন করলেও ব্রাজিলের খেলাও দেখি। রোনালদোর খেলা দেখেছি, রোনালদিনহোর খেলাও খুব ভালো লাগত। ব্রাজিলের সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে সাম্বা।’
বইয়ের প্রকাশনা উৎসব হলেও অনুষ্ঠানটি রূপ নিল চিরায়ত ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা তর্কে। বাংলাদেশ দলে যদিও মাশরাফির পক্ষেই ‘ভোট’ বেশি, বেশির ভাগই আর্জেন্টিনার সমর্থক। মাশরাফি-সাকিব-মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকের মতো অনেকেই পছন্দ করেন আর্জেন্টিনাকে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে ‘আর্জেন্টিনাবিরোধী’ও আছে যথেষ্টই। সেই দলটির নেতৃত্বে তামিম ইকবাল। ব্রাজিলের একনিষ্ঠ সমর্থক তামিমের তর্ক সবচেয়ে বেশি জমে মাশরাফির সঙ্গে, ‘ফুটবল নিয়ে সবচেয়ে মজার তর্ক হয় মাশরাফি ভাইয়ের সঙ্গে। গত বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ৭ গোল খাওয়ার পর খুব খারাপ লেগেছিল। তবে আর্জেন্টিনা-সমর্থক কেউ বলতে এলে বলি, পরের বিশ্বকাপ থেকেও যদি জিততে শুরু করেন আমাদের সমান হতে ১২ বছর লাগবে! ওই লেভেলে আসেন, তার পর কথা হবে!’
আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল বিতর্কের শেষ না হলেও একটি বিষয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা একমত, ফুটবল-পাগল এ দুই দেশের সঙ্গে যদি বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যাচ হয়, সেখানে তারা বলে-কয়েই জিতবেন! লেখক সাইদ মজার এক তথ্য জানালেন, আর্জেন্টিনা ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নাকি তামিমের ভীষণ ভক্ত। তিনি আবার আর্জেন্টিনা জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়ও। তাঁর অনুরোধ, তামিম যদি কোনো দিন আর্জেন্টিনা বেড়াতে আসেন, তাহলে যেন কয়েকটি ব্যাট সঙ্গে আনেন। ক্রিকেট সরঞ্জামাদি নাকি প্রায় পাওয়াই যায় না ফুটবল-পাগল আর্জেন্টিনায়!

বিএনপির অনশন ৩ ঘণ্টায় শেষ

কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দলের ডাকা ছয় ঘণ্টার অনশন কর্মসূচি পুলিশের আপত্তিতে আগেই শেষ হয়ে গেছে। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ বুধবার সকাল ১০টায় অনশন শুরু হয়। বিকেল চারটা পর্যন্ত হওয়ার কথা থাকলেও বেলা একটায় তা শেষ করে বিএনপি। তবে এ ব্যাপারে পুলিশের সঙ্গে চেষ্টা করে যোগাযোগ করা যায়নি।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঘোষিত তিন দিনের কর্মসূচির আজ ছিল তৃতীয় দিন। গতকাল মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে দলটি।
আজকের কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ১০টায় বিএনপির নেতারা প্রেসক্লাবের সামনের ফুটপাতের ওপর বিছানো কার্পেটে বসে পড়েন। দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা ফুটপাতের ওপর রাখা চেয়ারে বসেন। তাঁদের ঘিরে নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
বিএনপির অনশন চলার সময় প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় পুলিশের সদস্যরা রাস্তা থেকে ভিড় সরানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে মাইকে বিএনপির নেতারা বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে অনশন কর্মসূচি বেলা একটার মধ্যে শেষ করতে হবে। পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা যে যার মতো চলে যেতে থাকেন।
দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছোটাছুটি করছিলেন। পরে দেখা গেল, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেলকে গ্রেপ্তারের জন্য তাঁর পিছু নেয়। গোয়েন্দা পুলিশের দলটি প্রেসক্লাবের ভেতর দিয়ে সচিবালয়ের সামনে যায়, এরপর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। তবে কাউকে গ্রেপ্তার বা আটকের খবর পাওয়া যায়নি।
অনশন কর্মসূচি শেষের একটু আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ কর্মসূচিতে একাত্মতা জানাতে প্রেসক্লাবে আসেন। তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন এবং এর মধ্য দিয়ে অনশন কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
এ সময় ফখরুল ইসলাম বলেন, বিকেল চারটা পর্যন্ত অনশন চলার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষের অনুরোধের কারণে বেলা একটায় অনশন কর্মসূচি শেষ করা হয়েছে। এই কর্মসূচি থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানান তিনি
অনশন কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের দিনব্যাপী অনশন আমরা বেলা একটার মধ্যে শেষ করতে বাধ্য হচ্ছি। এই সরকার আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে, বিএনপিকে দুর্বল করে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখতে চায়। খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে ছাড়া এ দেশে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, দেশের মানুষের স্বাধীনতা নেই। অথচ একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। দেশের স্বাধীনতা আজকে হুমকির মুখে। আজকে চার দিন ধরে যাঁরা খালেদা জিয়াকে কারাগারে ডিভিশন দেননি, তাঁদের ব্যাপারে মামলা করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করার জন্য দলের মহাসচিবকে অনুরোধ করেন তিনি।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনশন কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা বরকত উল্লাহ বুলু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল প্রমুখ। এ ছাড়া বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের এবং ২০–দলীয় জোটের নেতারা বক্তব্য দেন।

মাস্টার্স ১ম পর্বের সংশোধিত কেন্দ্র তালিকা।


Friday, February 9, 2018

মাইকেল সাইমনসকে কেউ চিনেন??

মাইকেল সাইমনসকে কেউ চিনেন??
তার বয়স মাত্র ২১ বছর।আর এই ২১ বছর বয়সের ছেলেটাকে নিয়ে টানাটানি করে গুগোল আর ফেসবুক। কেন জানেন??? তাদের প্রতিষ্ঠানে চাকরী করানোর জন্য!!
খুব অদ্ভুত ব্যাপার না? মাত্র ২১ বছর বয়সেই এতো বড় বড় প্লাটফর্মে তার জনপ্রিয়তা সত্যিই অবাক হওয়ার বিষয়! শুনলে হয়তো চমকেও উঠতে পারেন এই সাইমনস মাত্র ১৩ বছর বয়সে মোবাইল এপ্স বানান যা প্রথম দিনেই ৪২ কপি পরের দিন ১০০ কপি তৃতীয় দিন ১৫০ কপি বিক্রি হয়।দ্রুতই এই এপ্স বিক্রির ক্ষেত্রে সেরা ১০ এর রেকর্ড ভেঙ্গে দেয়!!তার পরের মাসেই ঘটল আসল ঘটনা এপেল কম্পানি তাকে ৫ হাজার ডলারের চেক পাঠায়।মাত্র ১৪ বছর বয়সে তার মাসিক ইনকাম দাঁড়ায় ১২ হাজার ডলার।
তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা হয়ে ফেসবুকে জয়েন করেন।তারপরের বছর প্রকৌশলী হয়ে চাকরী স্থায়ী হয়।এ বছর চাকরী ছেড়ে দেওয়াতে ফেসবুক আর গুগোল তাকে নিয়ে টানাটানি করে পরে তিনি জানান গুগোলে যোগদান করতেছেন!তিনি ফেসবুকের সর্বকনিষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন এবং গুগোলের সর্বকনিষ্ঠ কর্মকর্তা হবেন!!
মাইকেল সাইমনসকে নিয়ে লিখলে আরো লিখা যাবে যাইহোক মূল কথায় আসি।শুধু মাইকেল সাইমনস না উন্নত বিশ্বের যুবকেরা ২০ বছর বয়স হলেই ভাবে কিভাবে ইউনিক কিছু করা যায়।৩০ এর আগেই কিভাবে কোটিপতি বনে যাওয়া যায়!!
কিন্তু আমাদের দেশের যুবকেরা কি করে???
দুধের দাত পড়তে না পড়তেই প্রেম শিখে যায়।সুন্দরী মেয়েদের পিছে লাইন না মারলে পেটের ভাত হজম হয় না।২০ বছর বয়স হতে হতেই ৪/৫ টা ছ্যাকা খেয়ে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে সব স্বপ্ন ভেঙ্গে চুড়ে শেষ!! ওহে বৎস কি ছিল তোমার স্বপ্ন???
ওমুক মেয়েকে বিয়ে করব, হানিমুন করব, সংসার করব, হেই করব তেই করব ইত্যাদি ইত্যাদি!!!
এইটারে কি স্বপ্ন বলে??? ওহে বৎস এইডা স্বপ্ন না এইটা নিয়ে না ভাবলেও এমন সময় আসবে।তো যেখানে উন্নত বিশ্বের যুবকেরা চিন্তা করে পরিশ্রম করে কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় সেখানে আমরা চিন্তা করি কিভাবে হেতিরে লইয়া পালানো যায়??!! কিভাবে ঐ মাইয়াডারে পটানো যায়??!! আরে পাগলা প্রতিষ্ঠিত হতে পারলে মেয়ে পটানো লাগে না এমনেইই পটবে, ভাগায় আনা লাগবে না...মেয়ের বাপে বাড়িতে এসে দিয়ে যাবে।
আমার লেখাটা ঐসব যুবকদের জন্য যারা প্রেমের নেশায় মাতাল হয়ে রাতের পর রাত দিনের পর দিন মোবাইল ফোন কানে নিয়ে প্রেমিকার সাথে ব্যস্ত আছে।আমার লেখাটা তাদের জন্য যারা "আমি আর বাচতে চাই না, আমার সব স্বপ্ন শেষ!" এসব ভেবে দিনাতিপাত করতেছে।
আমি বলব ব্যাচ-২৭ নাটক দুইটা দেখতে।মেয়েকে পাইলটের সাথে বিয়ে দেয় কারণ তার বেতন ৩ লাখ!! মেয়েকে অপূর্বর সাথে বিয়ে দিল না কেননা তার কিছুই নাই!! ছ্যাকা খেয়ে অপূর্ব ভেঙ্গে না পড়ে সে সিদ্ধান্ত নেয় পাইলট হবে এবং সে পাইলটই হয়।
নাটক সিনেমা হয়তো বাস্তব নয় কিন্তু চেষ্টা আর জিদ করলে নাটক সিনেমাকে হার মানানো যায়।
সুতরাং একটা কথায় বলবো, স্বপ্ন দেখুন, "কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হব, কিভাবে বড় হব, কিভাবে এই সমাজ বদলে দিব।আমি লেখক কিংবা চিত্রনায়ক হব, আমি ক্রিকেটার নয়তো সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হব ইত্যাদি ইত্যাদি!
এখন হয়তো বলতে পারেন " আব্বে ফইন্নি নীতি কথা কইতে আইছোস বয়সতো ২০ ওভার করছিস কিন্তু তুই কি করেছিস?" তাদের বলব, " ওস্তাদ খাড়ান আমিও আপনাদের দলে!"
লেখাঃ Robiul Islam Aminur(নির্লিপ্ত)